#কলকাতা: ১৫০ বছরের রীতি মেনে নতুন বছরের প্রথম দিনে বীরভূমে আশ্রম থেকে বনভোজনে গেল গোপাল, জগন্নাথ, বলরাম ও শুভদ্রা। দেড়শ বছর আগে বীরভূমের হেতমপুরের গৌরাঙ্গ মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন হেতমপুরের মহারাজ শ্রীরামরঞ্জন চক্রবর্তী। এই মন্দির প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকেই বনভোজনের এই রীতি চালু করেছিলেন তিনি। আর সেই প্রাচীন সেই রীতি মেনেই ইংরেজি বছরের প্রথম দিন মন্দিরের পাশের জঙ্গলে ভগবানকে নিয়ে ভক্তদের হয় বনভোজন। বছরের প্রথম দিনেই এই বনভোজন হয়, তবে কোন এই দিনটা একাদশী পড়ে গেলে দিনের পরিবর্তন হয়, সেক্ষেত্রে বনভোজন হয় ২রা জানুয়ারি।
advertisement
বনভোজনে মূল চার রকম পদ থাকলেও ভক্তদের দেওয়া নানান পদে পদের সংখ্যা বাড়তেই থাকে, তা দাঁড়ায় প্রায় ৫৫ - ৬০ ধরনের। মূল চার রকম পদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো সাদা অন্ন, পুষ্পান্ন, খিচুড়ি অন্ন, পরমান্ন। এছাড়াও থাকে মিষ্টি, মিষ্টান্ন। একেবারেই রাজকীয় ভাবে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ, গোপাল ও বনমালী, এছাড়াও জগন্নাথ, বলরাম ও শুভদ্রাকে নিয়ে ভক্তদের বনভোজনের রীতি বছরের পর বছর ধরে হয়ে আসছে হেতমপুরের এই গৌরাঙ্গ মঠে। ব্যান্ড, হরিনাম, সংকীর্তনের মধ্য দিয়ে জাঁকজমকভাবে নিয়ে যাওয়া হয় জঙ্গলে, আর বনভোজন হয়ে গেলে বিকালে আবার তাদের ফিরিয়ে আনা হয় মন্দির প্রাঙ্গণে।