অন্নদাশঙ্কর পাল এই পুজো প্রথম প্রতিষ্ঠা করেন। এখানে এক দিনে সপ্তমী অষ্টমী ও নবমী পুজো হলেও পরের দিন হয় দশমী পুজো। পুজো উপলক্ষে নিয়ম নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করা হয় সব রীতিনীতি। দশমীর দিনে সন্ধ্যায় হয় প্রতিমা নিরঞ্জন। পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, সার বছর অপেক্ষায় থাকেন জগদ্ধাত্রী পুজোর জন্য। নবমী তিথিতে দিনভর চলে পুজো।
advertisement
আরও পড়ুন : একদিকে সবজি, অন্যদিকে পশুর বেচাকেনা! সূচনা হয়েছিল রাজ আমলে! পুরুলিয়া গিয়ে এই হাট কখনও ঘুরেছেন?
তবে শুধু সাড়ন্বরে পুজো নয়। এই পাল বাড়ির জগদ্ধাত্রী পুজোর বিসর্জনের শোভাযাত্রাও সমান আকর্ষণীয়। এক একটি প্রতিমার শোভাযাত্রা হয় দেখার মত। সঙ্গে থাকে আলোকসজ্জা এবং নানা ধরনের বাজনা। যেমন ব্যান্ড, তাসা ইত্যাদি। বিসর্জন উপলক্ষে মেলে প্রশাসনের বিশেষ সহযোগিতা। শাস্ত্র জানাচ্ছে, দেবী জগদ্ধাত্রীর রূপ উজ্জ্বল। তাঁর তিনটি চোখ, চারটি হাত। চার হাতে শঙ্খ, ধনুক, তীর এবং চক্র।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
শঙ্খ শব্দের প্রতীক, শব্দই নাদ, নাদই ব্রহ্ম। দেবী বাক্ রূপেও নিজেকে প্রকাশ করেন। দেবীর হাতের ধনুকটি হল অসীম চৈতন্যশক্তির প্রতীক। সেই চেতনা যখন ক্রিয়াশীল হয়, তখন মানুষের লক্ষ্য হয় প্রাপ্তি। যশ-অর্থ-মোক্ষ! প্রাপ্তির শেষ নেই। সেই প্রাপ্তির দিকে তাকিয়েই থাকে তীর বা বাণ। ধনুকের ছিলাটিও প্রতীকী। এটি জগজ্জননী বেঁধে দেন সাধুজনের অন্তরে।





