জানা গিয়েছে, বিভিন্ন জগদ্ধাত্রী মণ্ডপে গিয়ে দল বেঁধে তারা আনন্দ উৎসবে সামিল হন। এই একটা দিনের আনন্দে মেতে ওঠেন আট থেকে আশি সকলেই। বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে শুক্রবার বিকাল পর্যন্ত বিভিন্ন মণ্ডপে ঘুরে ঘুরে এই বাজনা বাজানো হয়। আর এই বাজনার তালে তালে অনেকেই আনন্দে মেতে ওঠেন। ঠিক তেমনই রাস্তার দু’ধারে থাকে জনস্রোত। বাজনা বাজিয়ে বিভিন্ন মণ্ডপ ও পারিবারিক পুজো যে আর্থিক অনুদান তুলে দেন তাতেই সন্তুষ্ট হন তারা। সমস্ত পুজো মণ্ডপে গিয়ে এই বাজনার প্রদর্শনী করা হয়।
advertisement
বাদকদের কথায়, বাজনা বাজিয়ে একদিনে কেউ দেয় পাঁচ হাজার টাকা, কেউবা দেয় এক হাজার। যা অর্থ রোজগার তা একত্রিত করে দলের মধ্যে ভাগ করে নেওয়া হয়। আর সেই টাকা নিয়ে গিয়ে পরিবারের মুখে হাঁসি ফোটান তারা। তবে শুধু মুর্শিদাবাদ জেলার নয়, পার্শ্ববর্তী পূর্ব বর্ধমান থেকেও বাদকরা আসেন এই বাজনা বাজাতে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
মূলত কালীপুজোর পরে যে ধর্মীয় উত্সবটিকে ঘিরে মেতে ওঠে বাঙালি সমাজের একাংশ, তা হল জগদ্ধাত্রী পুজো। কৃষ্ণনগর ও চন্দনগরে জগদ্ধাত্রী পুজো উপলক্ষ্যে ধূমধাম হলেও গত কয়েক বছর ধরে রাজ্যের অন্যান্য অংশেও এই পুজোর প্রচলন হয়েছে। কৃষ্ণনগর ও চন্দনগরে মতো জগদ্ধাত্রী পুজো দুর্গাপুজোকেও ছাপিয়ে প্রধান উত্সব হিসেবে গণ্য হয় সালারের কাগ্রাম। বহু মানুষ এই সময় জগদ্ধাত্রী পুজোর শোভা দেখতে উপস্থিত হন এই কাগ্রামে।
কাগ্রামের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত গ্রামে ঢাক, ঢোল, ব্যাঞ্জ তাসা, অঘোরী নৃত্য এমনকি বিভিন্ন বাজনার কৌশল দেখানো হয়। যা দেখে মুগ্ধ হন সকলকেই। মুর্শিদাবাদ জেলার কাগ্রাম অন্যতম জগদ্ধাত্রী পুজোর আকর্ষণ। তবে আলোকসজ্জার পাশাপাশি এই বাজনার আকর্ষণ এক মাত্রা যোগ করে এই পুজোকে কেন্দ্র করে। তবে গোটা গ্রাম জুড়ে এই বাজনার প্রদর্শনী দেখতে ভিড় জমান বহু সাধারণ মানুষ।






