পরে সংবাদ মাধ্যমের সামনে কার্যত ক্ষোভে ফেটে পড়েন শিশু সুরক্ষা কমিশনের উপদেষ্টা। ঘটনায় গভীর দুঃখ প্রকাশ করে তিনি জানান, “১৮ বছর হয়নি যাদবপুরের বাংলা বিভাগের মৃত পড়ুয়ার। সে কারণেই এবার পকসো আইনে মামলা হবে। বিকেলেই তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও কথা বলবেন বলে জানান শিশু সুরক্ষা কমিশনের প্রধান উপদেষ্টা।
আরও পড়ুন : ‘তোর হস্টেলের বাবা কে…?’ প্রথম বর্ষের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে গায়ে কাঁটা দেওয়া পোস্ট ছাত্রের!
advertisement
এদিন মৃত ছাত্রের মামার বাড়িতে এসে তাঁর পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন অনন্যা দেবী। তিনি জানান, “গতকালই আমরা জানতে পেরেছি যাদবপুরের প্রথমবর্ষের ওই ছাত্র নাবালক ছিল। শীঘ্রই এ কথা পুলিশকে জানানো হবে। সেই অনুযায়ী এবার তদন্ত হবে। ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া ছাত্রদের বিরুদ্ধেও হবে পকসো আইনে মামলা।
পরিবারের অভিযোগ, হস্টেলে যাওয়ার পর থেকেই ওই ছাত্রের উপর নানা ভাবে নির্যাতন করা হয়েছে বলেও দাবি অনন্য দেবীর। গায়ে মিলেছে সিগারেটের ছ্যাঁকার দাগ। একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের অব্যবস্থা নিয়েও এদিন কার্যত ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি। কেন এখনও কোনও সিসিটিভি লাগানো হয়নি, কেন মেনে চলা হয়না রেজিস্টার, কেন বহিরাগতদের অবাধ আনাগোনা হস্টেল ক্যাম্পাসে এইসব প্রশ্ন তুলে অনন্যা দেবী জানান, “এর শেষ দেখে আমরা থামব।”