বাঁকুড়া: ভয়াবহ পরিণতি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক পড়ুয়ার। কংসাবতী নদী থেকে উদ্ধার হলে ওই পড়ুয়ার দেহ। ছাত্রের নাম সোহম পাত্র (২০)। তিনি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়া ছিলেন। বাড়ি বাঁকুড়ায়। বুধবার তাঁর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
advertisement
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বিকেলে মায়ের সঙ্গে বাঁকুড়ার উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন সোহম। তাঁরা হাওড়া-আদ্রা শিরোমণি এক্সপ্রেসে করে ফিরছিলেন। ট্রেন মেদিনীপুর স্টেশনে ঢোকার আগে টয়লেটে যান সোহমের মা। ফিরে এসে তিনি ছেলেকে সিটে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন।
সেই সময়ে তাঁকে অন্যান্য যাত্রীরা বলেন, সোহমকে তাঁরা দরজার কাছে যেতে দেখেছিলেন। কিন্তু সেখানে গিয়েও তাঁকে দেখতে পাননি মা। এর পর আর সোহমের খোঁজ মেলেনি।
বুধবার সকালে মেদিনীপুর শহরের কাছে কাঁসাই নদী থেকে উদ্ধার হয় দেহ। স্থানীয়দের সহযোগিতায় রেল পুলিশ ও জেলা পুলিশ দেহ উদ্ধার করে। সোহম কোনও ভাবে ট্রেন থেকে পড়ে যান, না নদীতে ঝাঁপ দেন, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাঁকুড়া শহরের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে সোহমের বাড়ি। মঙ্গলবার রাতেই পরিবারের লোকজন মেদিনীপুরে পৌঁছেছেন। মেদিনীপুর শহরে সোহমের মামার বাড়ি বলেও জানা গিয়েছে। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, দেহ উদ্ধার হয়েছে। খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হবে ময়নাতদন্তের জন্য। পরিবারের তরফে কোনও অভিযোগ দায়ের না হলেও পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করছে।
