মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ছাত্রের মা-বাবা-ভাই ও পরিবারের বাকিদের সঙ্গে দেখা করেন ৫ সদস্যের দল। ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, শিল্প মন্ত্রী শশী পাঁজা, এবং সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। মৃতের মাকে ব্রাত্য বসু ও চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, ‘আতঙ্ক করতে হবে না। আপনার ছোট ছেলেকে কলকাতায় পড়াবেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওকে দেখবেন।’
advertisement
সায়নী ঘোষ ও ব্রাত্য বসুর দাবি, ‘আজও সকালে ছয়জন গ্রেফতার হয়েছে। এটা একটা গ্যাংয়ের কাজ। কারও একার কাজ নয়। আজও সকালে ছয় জন গ্রেফতার হয়েছে।’ সায়নী মৃতের মাকে আশ্বাস দেন, ‘এখানে সারাক্ষণ চিকিৎসক ও সহকারী থাকবে আপনাদের অসুবিধা হবে না। আমরা দল থেকে ব্যবস্থা করে দেব।’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে ভীষণ কষ্ট পেয়েছেন এই ঘটনায়। ছাত্রের মাকে জানান কাকলি ঘোষ দস্তিদার। বলেন, ‘উনি আমাদের পাঠিয়েছেন আপনাদের কাছে।’
আরও পড়ুন: এ বছর ঠিক কোন সময়ে রাখি বাঁধলে ভাইয়ের জীবন ভরবে সুখ-সমৃদ্ধি-অর্থে? জানুন
তৃণমূলের সদস্যদের কাছে মৃতের মা বলেন, ‘আমার ছেলেটাকে ওরা কেড়ে নিল। আমার ছোট ছেলে আর যেতে চায় না কলকাতায়। ওদের শাস্তি চাই। আমার দীপ কোথায়? দীপকে ওরা কেড়ে নিয়ে গেল। আমার দীপকে ফিরিয়ে দাও। আমি কত কষ্ট করে ওকে মানুষ করেছি। আমাকে বলেছিল, আমি মা যাদবপুরে পড়ব তো? আমি বলেছিলাম পড়াব।’ মৃতের বাবার একটাই দাবি, ‘আমি আমার ছেলেকে তো আর ফেরত পাব না। আমার ছেলের মৃত্যুর জন্য যারা দায়ী, তাদের কড়া শাস্তি চাই।’
আবীর ঘোষাল