প্রতিবেশীদের অভিযোগ, খেতে না দিয়ে দিনের পর দিন পোষ্যদের ছাদে আটকে রাখেন প্রেমা৷ নীচে নামার কোনও উপায় নেই৷ বৃষ্টিতে ভিজতে হয় অবলা প্রাণীদের৷ রোদের তাপ থেকেও রেহাই নেই৷ কনকনে ঠান্ডাতে ছাদে অসহায়ভাবে দিন কাটে ৬ পোষ্যের৷ খিদের জ্বালায় বাধ্য হয়ে পালং শাকের টুকরো, আলুর খোসা চিবোতে বাধ্য হয় পোষ্যেরা৷
কথা বলার ভাষা নেই৷ তাই রেলিং-এ উঠে রাস্তার দিকে তাকিয়ে সারাক্ষণ চেঁচিয়ে অসহায়তার কথা জানান দেয় তারা৷ অসুস্থ ও শীর্ণ কুকুরগুলিকে চিকিৎসকের কাছেও নিয়ে যাওয়া হয়নি৷ স্থানীয় পশুপ্রেমী বাপ্পা পাল কালনা মহকুমা শাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন৷ সমাজকর্মীরাও ওই বাড়িতে গিয়ে বিস্তারিত খোঁজ নেন৷ যদিও অভিযুক্ত ব্যবসায়ী প্রেমা দে দাবি করেছেন, কুকুরগুলিকে ঠিকমতই খাবার দেওয়া হয়। তা সত্ত্বেও কেন পোষ্যদের কঙ্কালসার দশা, তা তিনি বুঝে উঠতে পারছেন না। এতদিন না করালেও, এবার কুকুরগুলির চিকিৎসা করাবেন বলে জানিয়েছেন ওই ব্যক্তি৷
advertisement
পশুপ্রেমীরা বলছেন, খেতে না দিয়ে পোষ্যদের বন্দি করে রাখা চরম শাস্তিযোগ্য অপরাধ৷ তাঁদের দাবি, প্রশাসন বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করুক। ওই ব্যক্তি দোষী প্রমাণিত হলে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক। অবলা জীবজন্তুর উপর নির্যাতন মেনে নেওয়া যায় না।
Saradindu Ghosh