TRENDING:

Inspiration: আশৈশব অসাড় হাত-পা, ঠোঁটে কলম ধরে, থুতনি দিয়ে ল্যাপটপ চালিয়েই B.Tech উত্তীর্ণ

Last Updated:

Inspiration: ছোট থেকেই অর্থো গ্রাইপোসিস মাল্টিপ্লেক্স কনজেনিটা নামক মাংসপেশীর এক বিরল রোগে আক্রান্ত। যেক্ষেত্রে মাংসপেশীর ক্ষমতা কম। তবে মনের জোর তার অদম্য। মনের জোরকে সঙ্গী করে আর পাঁচজনের মত নিজেকে তৈরি করে সমাজে এগিয়ে চলেছে তুহিন।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
রঞ্জন চন্দ, পশ্চিম মেদিনীপুর: বাধা, প্রতিবন্ধকতা, এই শব্দগুলোই যেন তার অভিধানে নেই। জীবনযুদ্ধে হার মানেননি। জন্মের পর থেকেই হাতে পায়ে তেমন জোর নেই, চলাফেরার ক্ষমতা নেই বললেই চলে। তবে সেই ছোট থেকেই নিজেকে তৈরি করেছেন আর পাঁচ জনের মতো। সঙ্গী বাবা-মা আর মনের জোর। সেই মনের জোরকে সঙ্গী করে শারীরিক বিশেষ সক্ষমতা পিছনে ফেলে জীবনযুদ্ধে সফল খড়্গপুরের এক যুবক। জন্মের পর থেকেই বিরল এক রোগে আক্রান্ত হয়েও নিজেকে সমাজে করেছেন প্রতিষ্ঠিত। তার এই ভাবনা এবং সফলতা অবাক করেছেন সকলকে। হাতে জোর নেই, লেখার ক্ষমতা নেই। তবে থুতনি দিয়েই অনায়াসে সাধারণের মতো কম্পিউটার ল্যাপটপ চালাতে পারেন তিনি। মুখের মধ্যে পেন ঢুকিয়ে অনায়াসে কষতে পারেন অঙ্ক।
advertisement

তাঁর ক্রিয়েটিভিটি, পড়াশোনা এবং বুদ্ধিমত্তা এনে দিয়েছে সম্মান। শিক্ষা ক্ষেত্রে স্বীকৃতিস্বরূপ জুটেছে জাতীয় এবং রাজ্যস্তরের একাধিক সম্মাননা। মুখে পেন ধরে লিখে, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক এমনকি কম্পিউটার সায়েন্সে বি.টেক পাশ করেছেন এই যুবক। হাতে লেখার ক্ষমতা নেই, পারেন না ল্যাপটপ কিংবা কম্পিউটার চালাতে। তাই তাঁর ভরসা থুতনি। সেভাবেই অনায়াসে চালান ল্যাপটপ, মোবাইল। সাধারণ পেন মুখে ঢুকিয়ে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলে তার পড়াশোনা, লেখালেখি। ছোট থেকে নিজেকে বিশেষভাবে সক্ষম না ভেবে আর সাধারণ পাঁচজন ছেলে মেয়েদের মত নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার লড়াই শুরু করেছেন। আইআইটি থেকে এম.টেক করে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চান তিনি।

advertisement

ইতিমধ্যেই সরকারি বিভিন্ন মহল থেকে মিলেছে পুরস্কার। কখনও রাষ্ট্রপতি, আবার কখনও শিক্ষামন্ত্রীর কাছ থেকে পেয়েছেন সম্মাননা। পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুর শহরের মালঞ্চ এলাকার বাসিন্দা তুহিন দে। বয়স ২৫ বছর। ছোটবেলায় আইআইটি কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনার পর রাজস্থানের কোটা থেকে জয়েন্ট এন্ট্রান্স এর প্রস্তুতি এবং উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন তিনি। এর পর আইআইএসটি শিবপুর থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে সম্প্রতি বি টেক পাশ করেছেন তুহিন। এ যাবৎ পর্যন্ত তেমন কোনও গৃহশিক্ষকের প্রয়োজন পড়েনি তাঁর। নিজের ইচ্ছেতেই প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত পড়াশোনা করেন তিনি। প্রয়োজনে মুখ দিয়ে লেখা চালিয়ে যেতে হয় তাঁকে। এটাই অভ্যাস হয়ে দাঁড়িয়েছে ছোটবেলা থেকেই। তবে প্রয়োজনে মোবাইল কিংবা ল্যাপটপ ব্যবহারে তাঁকে কাজে লাগাতে হয় থুতনি।

advertisement

আরও পড়ুন : ১ মুঠো করে আগুনে ফেলুন এই ২ দানা! ধোঁয়ার গন্ধে সাপ হবে পগারপার! ঘেঁষবে না আপনার বাড়ির ত্রিসীমানায়! রইল সাপ তাড়ানোর সহজ টোটকা

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
পুরীর রথ এবার রঘুনাথপুরে, থিমে মন কাড়ছে আপার বেনিয়াসোলের দুর্গাপুজো মণ্ডপ
আরও দেখুন

খড়গপুর শহরের ব্যবসায়ী সমীরণ এবং সুজাতা দে-এর একমাত্র ছেলে তুহিন। ছোট থেকেই অর্থো গ্রাইপোসিস মাল্টিপ্লেক্স কনজেনিটা নামক মাংসপেশীর এক বিরল রোগে আক্রান্ত। ফলে  মাংসপেশির ক্ষমতা কম। তবে মনের জোর তাঁর অদম্য। মনের জোরকে সঙ্গী করে আর পাঁচজনের মতো নিজেকে তৈরি করে সমাজে এগিয়ে চলেছেন তুহিন। বিশেষভাবে সক্ষম হয়েও সমাজের কাছে সক্ষমতার নজির তৈরি করেছেন তিনি। অন্যান্য সকলকে দিচ্ছেন সমাজে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার ভাবনা। সকলের কাছে নজিরবিহীন অনুপ্রেরণা খড়্গপুরের তুহিন।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Inspiration: আশৈশব অসাড় হাত-পা, ঠোঁটে কলম ধরে, থুতনি দিয়ে ল্যাপটপ চালিয়েই B.Tech উত্তীর্ণ
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল