অসুস্থ হনুমানকে উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে ইন্দপুর বন দফতর। বন দফতর সূত্রে খবর, সন্ধ্যা নাগাদ বেলুট গ্রাম থেকে হনুমানটিকে উদ্ধার করা হয়। স্থানীয়রা জানান, সকাল থেকে হনুমানটি গাছেই ছিল। সে অসুস্থ বুঝে বন দফতরে খবর দেওয়া হয়। বনকর্মীরা গিয়ে জাল পেতে হনুমানটিকে উদ্ধার করেন। ইঁদপুর রেঞ্জের আধিকারিক কোয়েল মৌলিক বলেন, কোনও রকম চোট ছাড়াই ভালভাবে উদ্ধার করা গিয়েছে হনুমানটিকে। দফতরে এনে চিকিৎসা শুরু হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন : রাজ্যের একমাত্র ফুল রাখার হিমঘর সংস্কারের অভাবে অকেজো! সংরক্ষণ নিয়ে চিন্তা, চাষিদের পকেটে বাড়তি চাপ
হনুমান তো গাছেই থাকে। কিন্তু এই হনুমান সকাল থেকেই বসেছিল গাছে। নড়তে আর পারছিল না, তার সঙ্গীরাও যে যার মত চলে যায়। একলা ওই হনুমানটি গাছে বসে থাকে। বারবার তাকে উদ্ধার করার চেষ্টা করা হলে স্থান পরিবর্তন করে সে। গাছ থেকে পড়ে আহত হওয়ার সম্ভাবনা ছিল হনুমানটির। সেই চিন্তা কাজ করতে থাকে উদ্ধারকারীদের মনে। নির্বাক হলেও যেন চোখ কথা বলে, এরপর বন দফতরের এর আন্তরিক প্রচেষ্টা।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
রীতিমত জাল পেতে, অনেক কাঠ খড় পুড়িয়ে উদ্ধার করা হয় হনুমানটিকে। পুরো বিষয়টাই ঘটে সাধারণ মানুষের চোখের সামনে। পশু এবং মানুষের বাস। একটি হনুমানের জন্য এমন সমবেদনা সচরাচর চোখে পড়ে না। বন দফতর সূত্রে খবর, হনুমানটিকে সুস্থ করে ছেড়ে দেওয়া হবে জঙ্গলে বা তার লোকালয়ে। এভাবেই অবলা প্রাণীদের প্রতি সহানুভূতিশীল হয়ে বসবাস করলে আরও সুন্দর হয়ে উঠবে সমাজ, এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।





