শ্রী দীপক নিগম, ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার জানিয়েছেন, সঠিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়নের মাধ্যমে শিয়ালদহ ডিভিশনের প্রতিটি বিভাগ উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছে, যাতে সমস্ত তীর্থযাত্রীর জন্য যাত্রা নির্বিঘ্ন ও আনন্দময় হয়।
• Operations Department: অপারেশনস বিভাগ অসাধারণ দক্ষতার পরিচয় দিয়ে তীর্থযাত্রীদের বিশাল ভিড় সামলানোর জন্য বিশেষ ট্রেন চালিয়েছে। শিয়ালদহ থেকে নামখানা ও কাকদ্বীপের মধ্যে মোট ১০২টি ট্রেন চালানো হয়েছে। সময়ানুবর্তিতা বজায় রাখতে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল।• Electrical/TRS Department: টিআরএস বিভাগ নিরন্তর পরিশ্রম করে ইএমইউ রেকের রক্ষণাবেক্ষণ করেছে, যা নিয়মিত ও বিশেষ ট্রেনগুলির জন্য পরিষেবায় নিযুক্ত ছিল। নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিদর্শনের মাধ্যমে যাত্রীদের জন্য নিরাপদ ও আরামদায়ক যাত্রা নিশ্চিত করা হয়েছিল।
advertisement
আরও পড়ুন-নীল শার্ট বদলে হল কালো…! সইফকে আসলে ‘ছুরি’ মেরেছিল কে? দ্বিতীয় CCTV ফুটেজে ভয়ঙ্কর চমক!
• Commercial Department: বাণিজ্য বিভাগ অতিরিক্ত টিকিট কাউন্টার স্থাপন করে দ্রুত এবং সহজ টিকিট বুকিংয়ের ব্যবস্থা করেছে। এম-ইউটিএস নামে একটি নতুন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল, যেখানে বুকিং ক্লার্করা যাত্রীদের কাছে গিয়ে সরাসরি টিকিট ইস্যু করতেন। এটি বিশেষত বয়স্ক ও প্রয়োজনীয় যাত্রীদের জন্য অত্যন্ত সহায়ক ছিল। কাকদ্বীপ এবং নামখানায় বাণিজ্য বিভাগ মোট ২৩,৮৪,৮৬১ টাকা আয় করেছে।
• Security Department: নিরাপত্তা বিভাগের একটি নিবেদিত দল ভিড় নিয়ন্ত্রণ এবং যাত্রীদের সহায়তা প্রদান করেছে। ২৪ ঘণ্টা সিসিটিভি নজরদারির মাধ্যমে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়।• Electrical Department: শিয়ালদহ, কাকদ্বীপ এবং নামখানার স্টেশনগুলোতে যথাযথ আলোকসজ্জা এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়েছিল।
• Engineering Department: ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন বিশেষ ধরণের তাঁবু নির্মাণ করেছে এবং তীর্থযাত্রীদের জন্য উন্নতমানের শৌচাগার স্থাপন করেছে।
• Medical Department: শিয়ালদহ, কাকদ্বীপ এবং নামখানায় চিকিৎসা বুথ স্থাপন করা হয়েছিল, যেখানে চব্বিশ ঘণ্টা চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়।
• St. John Ambulance and Civil Defence: এই স্বেচ্ছাসেবকরা প্রাথমিক চিকিৎসা, ভিড় নিয়ন্ত্রণ, এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সেবায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। ডিআরএম শিয়ালদহ শ্রী নিগম বলেন, গঙ্গাসাগর মেলায় শিয়ালদহ ডিভিশনের এই অসাধারণ কাজ তীর্থযাত্রী এবং সংশ্লিষ্ট সবার কাছে প্রশংসিত হয়েছে। এই সাফল্য আমাদের কর্মীদের কঠোর পরিশ্রম ও নিষ্ঠার ফল।