এদিন সকালে দেখা গেল, ঘন ঘন ট্রেন চলাচল সংক্রান্ত ঘোষণা হচ্ছে। ফুট ওভারব্রিজে যাতে যাত্রীদের ভিড় না থাকে সেই ব্যাপারে আরপিএফ নজরদারি চালাচ্ছে। দুর্ঘটনা ঘটলেই রেলের তৎপরতা বাড়ে। তারপর ফের একই ছবি দেখা যায়, অভিযোগ নিত্যযাত্রীদের।
আরও পড়ুনঃ প্রতিবেশী দাদুর যৌন লালসার শিকার শিশুকন্যা! বাবা-মায়ের চোখ এড়িয়ে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে…! কুলতলিতে শোরগোল
advertisement
গতকাল সন্ধ্যায় বর্ধমান স্টেশনের ৪ ও ৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মের মাঝের ফুটব্রিজে ওঠার সিঁড়িতে আচমকাই পদপিষ্টের ঘটনা ঘটে। ট্রেন ধরতে গিয়ে হুড়োহুড়ির জেরে পড়ে গিয়ে আহত হন বহু যাত্রী। তাঁদের মধ্যে ৮ জন এখনও বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি আছেন। এই ঘটনার পর থেকেই রেলের পরিকাঠামো এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থার ঘাটতি নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন যাত্রীরা।
অভিযোগ, বছরের পর বছর ধরে ওই একই সিঁড়িতে দুর্ঘটনা ঘটলেও রেল প্রশাসন কার্যত উদাসীন। প্রতিবার ঘটনার পর কয়েকদিন নিরাপত্তা ব্যবস্থা কড়া হয়, তারপর আবার আগের মতো ঢিলেঢালা হয়ে যায় সবকিছু।
নিত্যযাত্রীরা বলছেন, প্রায় প্রতিদিনই শেষ মুহূর্তে রেলের তরফে মাইকিং করা হয়। ফলে ফুটব্রিজে দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রীরা হুড়োহুড়ি করে নীচে নামতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটে। রেলের উচিত আগে থেকে ঘোষণা করা এবং যাত্রী চলাচলের দিকনির্দেশ ঠিক করা।
স্থানীয় যাত্রী ও নিয়মিত ট্রেন যাত্রীদের দাবি, স্টেশনের ফুটব্রিজে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা, সিসিটিভি নজরদারি এবং যাত্রী নিয়ন্ত্রণের জন্য স্থায়ী কর্মী নিয়োগ করা হোক। দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে রেলের তরফে এবার স্থায়ী পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি তুলেছেন তাঁরা। এই ঘটনার পর রেলের ভূমিকার কড়া সমালোচনা করেছেন সাংসদ কীর্তি আজাদ। ট্রেন চলাচল সংক্রান্ত ঘোষণায় কোনও ত্রুটি ছিল কিনা সেটা খতিয়ে দেখা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন ডিআরএম।