জানা যায়, কোচবিহার রাজবাড়ির আদলে এই স্টেশনটিকে গড়ে তোলার স্বপ্ন প্রথম দেখেছিলেন তৎকালীন রেলওয়ে স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান তথা বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রের প্রাক্তন সাংসদ প্রয়াত বাসুদেব আচারিয়া। তিনি সাংসদ থাকার সময়ই এই স্টেশনটিকে কোচবিহার রাজবাড়ির আদলে গড়ে তোলেন। জানা যায়, ১৮৮৭ সালে নাগপুর–ছত্তিশগড় রেলপথকে উন্নত করার জন্য এবং বেহালপুর থেকে আসানসোল পর্যন্ত বিস্তৃত করার জন্য বেঙ্গল নাগপুর রেলওয়ে গঠিত হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: তাজপুরে বুলডোজার…! ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল একের পর এক দোকানপাট, শেষ হল ৫ দশকের লড়াই
এর ফলে হাওড়া-মুম্বই রুটটিকে এলাহাবাদের মধ্য দিয়ে একটি কম দূরত্বের পথ বানান যেতে পারত। হাওড়া–দিল্লি প্রধান লাইনের নাগপুর থেকে আসানসোলের বেঙ্গল নাগপুর রেলওয়ে জয়চণ্ডীর এই লাইনটি ১৮৯১ সালে পণ্য পরিবহনের জন্য খোলা ছিল। দীর্ঘ প্রাচীন এই জয়চণ্ডী পাহাড় রেল স্টেশন সেই সময় ছিল একদম ছোট্ট একটি স্টপেজ। তারপরেই বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ প্রয়াত বাসুদেব আচারিয়া রেলওয়ে স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান হওয়ার পর জয়চণ্ডী স্টেশনকে উন্নত করার ভাবনাচিন্তা নেন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
কোচবিহার রাজবাড়ির আদলে পুরুলিয়ার এই স্টেশনটিকে গড়ে তোলার স্বপ্ন প্রথম দেখেছিলেন তিনি। বর্তমানে এই রেলস্টেশনটিকে অমৃত ভারত রেল স্টেশনের মধ্যে আনা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের রেলমন্ত্রকের তত্ত্বাবধানে প্রায় সাড়ে ১১ কোটি টাকা ব্যয়ে আধুনিকীকরণ হয়েছে রেলস্টেশনের।
শান্তনু দাস