গত সোমবার কাকদ্বীপ মহকুমার ৯৫ জন মৎস্যজীবী বাড়ি ফিরেছেন। কিন্তু বাংলাদেশের নৌ সেনাদের অত্যাচারের স্মৃতি কেউ ভুলতে পারছে না। ২২ জন অসুস্থ মৎস্যজীবীকে গতকাল কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসা করনো হয়। অনেকের শরীরে রক্ত জমাট বেঁধে আছে বলে জানিয়েছেন কাকদ্বীপ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সুপারিনটেনডেন্ট কৃষ্ণেন্দু রায়। গত সোমবার গঙ্গাসাগর থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভারতীয় মৎস্যজীবীদের ওপর মারধরের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন।
advertisement
সোমবারই দু’দিনের গঙ্গাসাগর সফরে গিয়ে মারাত্মক অভিযোগ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলাদেশে বন্দি ভারতীয় ৯৫ জন মৎস্যজীবীদের ফেরা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশ থেকে ৯৫ জনকে আনতে পেরেছিলাম। কিন্তু একজন ভয়ে লাফ দিয়েছিলেন তিনি মারা যান। তাই তাঁর পরিবারকে ২ লাখ টাকা তুলে দেওয়া হচ্ছে। আমরা প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রাখছিলাম। ৯৫ জনের হাতে ১০ হাজার টাকা করে তুলে দিচ্ছি।’
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, ‘আপনারা দেখতেই পাচ্ছেন চোখে জল আসার মতো, বাংলাদেশ আমাদের প্রতিবেশী দেশ। আমরা একে অপরকে ভালবাসি। কিন্তু মৎসজীবীরা পরিস্থিতির শিকার। আগে মৎস্যজীবীরা মারা গেলে কেউ খুঁজে পেত না। কিন্তু আমরা এখন একটা কার্ড দি। এই কার্ডটির বিশেষত হল ওই কার্ডটির মাধ্যমে ট্র্যাক করতে পারি। আমরা জানতে পারি পুলিশ স্টেশনে ডিটেন করে রাখা হয়েছে। আমরা দুই দেশ। দুই দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করতে পারি। একটা লোক যাতে পুলিশ স্টেশন থেকে যাতে জেলে থাকতে পারে তার জন্য ব্যবস্থা করতে পেরেছিলাম।’