ভারত এবং বাংলাদেশ, দুই দেশের মৎস্যজীবীদের বিনিময় করে ফিরিয়ে দেওয়া হয়ে নিজেদের দেশে। এর মধ্যে দেশে ফেরা ভারতীয় মৎস্যজীবীদের অভিযোগে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মৃত মৎস্যজীবীর কাকদ্বীপের বাড়িতে বুক ফাটা কান্না। দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপ থেকে ট্রলারে সমুদ্রে পাড়ি দিয়েছিলেন মৎস্যজীবী গুণমণি দাস। ৬টি ট্রলারে মোট ৯৫ জন রওনা দেন মাছ শিকার করতে। দু’মাস পরে গুণমণি দাস ছাড়া ঘরে ফিরেছেন সকলে।
advertisement
আরও পড়ুন: হুড়মুড় করে কমছে বাংলাদেশের টাকার দাম, ভারতের ১০০ টাকা মানে পদ্মাপারের কত হল জানেন?
ফিরে আসা মৎস্যজীবীর দাবি, ১৬ অক্টোবর মাঝ সমুদ্রে বিকল হয়ে যায় ট্রলারের এঞ্জিন। সেই সময়ে সীমান্ত পার করে চরম বিপদের মুখে পড়েন সকলে। বাংলাদেশের কোস্টগার্ড দেখতে পেয়ে সজোরে ধাক্কা মারে গুণমণি দাসের ট্রলারে। ট্রলার থেকে ছিটকে সমুদ্রে পড়ে যান ৫ মৎস্যজীবী।
আরও পড়ুন: ভারতবিদ্বেষের ফল! আগে দিনে ৭০০০ ভারতীয় ভিসা পেতেন বাংলাদেশিরা, এখন কত জানেন?
৪ জনকে উদ্ধার করা হলেও গুণমণিকে তুলতে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। বাংলাদেশের কোস্টগার্ডের বিরুদ্ধে গুণমণিকে ডুবিয়ে খুনের অভিযোগ তুলেছেন ফিরে আসা এক ভারতীয় মৎস্যজীবী। সেই সঙ্গে, তাঁর আরও অভিযোগ, আটক হওয়া ভারতীয় মৎস্যজীবীদের উপর নির্মম অত্যাচার করা হয়েছে। হাত-পা বেঁধে নিরীহ মৎস্যজীবীদের বেধড়ক মারধর করা হয়। আঘাতের জেরে দেহের বিভিন্ন জায়গায় ক্ষত রয়েছে মৎস্যজীবীদের। আহত ২২ জন মৎস্যজীবীর চিকিৎসা হয় কাকদ্বীপ সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালে।