গত ৪০ বছর ধরে এইভাবে চালিয়ে আসছেন উত্তম ঘড়াই। আগের দোকানটি খানিকটা বড় ছিল সম্প্রতি রাস্তা সম্প্রসারণের জন্য ভাঙ্গা পড়েছে অর্ধেকটা চায়ের দোকান। তবে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের শ্রদ্ধা নিবেদনে ভাঁটা পড়েনি এতটুকুও। দেশপ্রেমীদের প্রতি উত্তমের এই ভক্তি তাকে এক সময়ে স্থানীয় মানুষ জনের কাছে করে তুলেছিল উপহাসের পাত্র কিন্তু তাঁকে টলানো যায়নি তাঁর জীবন চর্যার অভিনবত্ব থেকে একচুলও।
advertisement
আরও পড়ুন : ৩৫ ফুটের জাতীয় পতাকা! স্বাধীনতা দিবসে নজর কাড়ল এই স্কুল...
আরও পড়ুন : কফির কাপে মেশান লেবু! শুধু মানতে হবে 'এই' নিয়ম! সুপারফাস্ট গতিতে কমবে ওজন!
স্কুলে পড়াশোনার সুযোগ হয়নি। ছোটবেলায় মামার চায়ের দোকানে কাজ করতেন উত্তম। তবে নিজের ইচ্ছেয় বাংলা লিখতে ও পড়তে শিখেছেন তিনি। সে সময় থেকেই স্বাধীনতার সংগ্রামের নানা কাহিনী চরিত্র সম্পর্কে আগ্রহ জন্মায় তাঁর।
নিজের দোকান খোলার পরে সেখানে দেশপ্রেমীদের ছবি নিয়ে পূজা করা শুরু করেন উত্তম। বাসন্তী থানার সাত নম্বর সোনাখালি গ্রামের বাসিন্দা উত্তমের সংসারে স্ত্রী ও দুই সন্তান। ইতিমধ্যেই মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। ছেলে সিভিক ভলেন্টিয়ারে কাজ করতেন কিন্তু নানা কারণে কাজ হারিয়েছেন। উত্তমের আয়ের উপর চলে সংসার। অভাবের সংসারে নিজের আদর্শ থেকে সরেননি উত্তম। উত্তমের দোকানে এখন অনেক খরিদ্দার। বিপ্লবীদের নানা কাহিনী বলেন চা-ওয়ালা উত্তম। তার কথায়, "আমার কাছে দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামীরা ঈশ্বর ওঁদের অনুসরণ করে সারা জীবন চলতে চাই।"
অনুপ বিশ্বাস