ভাতার স্টেট জেনারেল হাসপাতাল থেকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার হওয়া এক মহিলার মৃত্যু হয় ভাতার রেল স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্য জুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। অভিযোগ, আবেদন করেও ওই মহিলাকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য সরকারি অ্যাম্বুল্যান্স পাননি রোগীর পরিবার। শুধু তাই নয়,অ্যাম্বুল্যান্সের জন্য মোটা টাকা দাবি করা হয় বলেও অভিযোগ।
advertisement
আরও পড়ুন- উধাও রোদ, শহরজুড়ে মেঘলা আকাশ! কখন নামবে বৃষ্টি, জানুন আবহাওয়ার আপডেট
আরও পড়ুন- ভুল করেও তুলসির কাছে এই গাছ লাগাবেন না, বড় বিপদ নেমে আসবে, সতর্ক থাকুন
মেনকা কোঁড়ার বাড়ি বর্ধমান শহরের পারবীরহাটা এলাকায়। স্বামী অসিত কোঁড়ার সঙ্গে দিনমজুরের কাজ করতে ভাতারে গিয়েছিল মেনকা। সেখানেই অসুস্থ হয়ে পড়লে বৃহস্পতিবার ভোরে তাঁকে ভাতার স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে স্যালাইন দেওয়ার পর তাঁকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়।
তাঁকে বর্ধমান মেডিকেলে নিয়ে যাওয়ার জন্য অ্যাম্বুল্যান্সোর খোঁজ করেন মেনকার স্বামী অসিত কোঁড়া। তখনই তাঁর কাছ থেকে টাকা চাওয়া হয় বলে অভিযোগ। টাকা নেই জানিয়ে আবেদন নিবেদন করলে তাঁকে এমার্জেন্সি খালি করে দিতে বলা হয়।ট্রেনে করে রোগীকে বর্ধমানের নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসক ও কর্মীদের একাংশ। এমনই অভিযোগ মেনকার স্বামীর।
আধঘন্টা অপেক্ষা করার পরও অ্যাম্বুল্যান্স না পেয়ে নিরুপায় হয়ে মেনকাকে টোটোই চাপিয়ে ভাতার স্টেশনে পৌঁছান স্বামী অসিত কোঁড়া। সেখানেই মেনকা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। এই খবর প্রচারিত হতেই রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর থেকে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক নিজে ভাতার হাসপাতালে গিয়ে ঘটনার তদন্ত করেন।