আজ মঙ্গলবার রঙ খেলল বর্ধমান। করোনার আতঙ্ককে দূরে সরিয়ে রঙে রেঙে উঠলো সবাই। সবার রঙে রঙ মেলানোর আনন্দে মাতলেন সকলেই। ফাগ উড়লো নানা রঙের। কখনো সেই গুলাল লাল রঙের। কখনও সেই আবির গোলাপি, বেগুনি, গেরুয়া, হলুদ।নানা বর্ণে চিত্রিত হলেন শিশু কিশোর, আট থেকে আশি সকলেই।
দোল পূর্ণিমায় একেবারে স্বাভাবিক ছিল বর্ধমান। রঙ মাখতে দেয়নি গায়ে। সেদিন ছিল ঠাকুরের দোল। রাজ আমল থেকে চলে আসছে এই রীতি। সেদিন সব বৈষ্ণব মন্দিরে ঘুরে ঘুরে দেবতার পায়ে আবির দিতেন রাজা সহ রাজপরিবারের সদস্যরা। তাই সেদিন প্রজাদের রঙ খেলা নিষিদ্ধ ছিল। সেই প্রথা আজও মেনে চলেন শহরের বাসিন্দারা। কিন্তু আজ হোলির দিনে কোনও বাধা নেই। এদিন রাজাও মিশে যেতেন প্রজাদের সঙ্গে। আবির রঙে মাখামাখি চলতো ভেদাভেদ ভুলে। উচ্চ নীচ জাতপাত ভুলে সবাইকে আপন করে নেওয়ার সেই ঐতিহ্য ধরা পড়ল এদিনও।
advertisement
প্রভাতফেরির মধ্য দিয়ে রঙ খেলা শুরু হয়েছিল বর্ধমানে। ইছলাবাদ অ্যাথেলেটিক ক্লাব সহ বেশ কয়েকটি সংস্হার যৌথ উদ্যোগে বের হয় রঙিন শোভাযাত্রা। পলাশ ফুলে খোঁপা বেঁধে বাসন্তী রঙের শাড়ি পড়ে নৃত্য গীত পরিবেশন করে কচিকাঁচারা।তাদের সঙ্গে পা মেলান পুরুষ মহিলারা। এলাকার বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে এই প্রভাতফেরি। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আবির খেলা শুরু হয়ে যায় শহরের সব প্রান্তেই। বর্ধমানের নীলপুরে জাগরনী সংঘের মাঠৈ, উৎসব ময়দানে, টাউনহল ময়দানে হোলি উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠান হয়। হোলিতে অপ্রীতিকর ঘটনা রুখতে সকাল থেকেই জি টি রোডে টহল দিয়েছে পুলিশ। বর্ধমান থানার পক্ষ থেকে আগেই চিঠি দিয়ে সংযত ভাবে দোল উৎসব পালনের বার্তা পাঠানো হয়েছিল। সুশৃঙ্খলভাবেই হোলি উদযাপন হয়েছে বর্ধমানে।
Saradindu Ghosh