আরও পড়ুন: নবাবের থেকে ধার নেওয়া টাকা শোধ, তারপরই শুরু কৃষ্ণনগর রাজবাড়ির জগদ্ধাত্রী পুজো
জগদ্ধাত্রী পুজোর ঘট বিসর্জনের শোভাযাত্রা কৃষ্ণনগরের একটি প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী প্রথা হিসেবে প্রচলিত রয়েছে আদি কাল থেকে। তার পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিবছরের মত এই বছরেও বুধবার বেলা বারার সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় পুজো বারোয়ারী কমিটির সদস্যরা তাদের সুসজ্জিত ঘট বিসর্জন শোভা যাত্রায় অংশগ্রহণ করে। পাশাপাশি শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করতে দেখা যায় দূর দূরান্ত থেকে আগত উৎসাহী দর্শনার্থীদের। প্রশাসনের নির্দেশ মতো শোভাযাত্রাগুলি শহরের নির্দিষ্ট পথ ধরে প্রদক্ষিণ করার পর জলঙ্গী নদীর দিকে অগ্রসর হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: দেখে নিন কৃষ্ণনগরের বিশেষ কিছু জগদ্ধাত্রী পুজোর প্যান্ডেল
এছাড়াও যে কোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ঘট বিসর্জনকে কেন্দ্র করে কার্যত নিরাপত্তার মোড়কে শহর কৃষ্ণনগরকে ঘিরে ফেলা হয় পুলিশ প্রশাসনের নিরাপত্তায়। নিরাপত্তা জনিত কারণে শহরের ভেতরে এ দিন যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। এছাড়াও সম্পূর্ণভাবে ব্লক করে দেওয়া হয় শহরের অভ্যন্তরে যাতায়াত করার বিভিন্ন পথঘাট। এক কথায় জগদ্ধাত্রী পুজোর ঘট বিসর্জনের শোভাযাত্রা ও সাঙ যাত্রাকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তার বেষ্টনীতে মুড়ে ফেলা হয় গোটা শহরকে।
জানা যায়, আগে প্রতিমার সঙ্গেই ঘট বিসর্জন হতো। কিন্তু সত্তর, আশির দশকে বিসর্জনের সময় পুজো কমিটি গুলোর মধ্যে ব্যাপক মারপিট হত। ঠাকুর ভাসানে লাগত রক্তের ছিটে। ১৯৯৪ সালে প্রতিমা নিরঞ্জনে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল প্রশাসন। কিন্তু সেই বছর গোলাপট্টি বারোয়ারি এক কাণ্ড করে বসে। প্রতিমার বদলে দিনের বেলা শোভাযাত্রা করে ঘট নিয়ে ভাসানে বেরিয়ে পড়ে। শোভাযাত্রায় ফিরিয়ে আনা হয়েছিল বন্ধ হয়ে যাওয়া সাঙকেও। জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবাইএই সাঙ সাজতেন। সেই শুরু।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
কমিটির এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছিল প্রশাসনও। তারপর ধীরে ধীরে বাকি পুজো কমিটিরগুলোও দিনের বেলা ঘট ভাসান শুরু করে।
Mainak Debnath