জলের অপচয় রুখতে পথে নেমেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী....শুধু বহরমপুর ব্লকেই রমরমিয়ে চলছে ৫ হাজার ২০০'র কাছাকাছি বেআইনি জল-কারখানা।
এই সব কারখানায় ইচ্ছে মতো ভূগর্ভস্থ জল তোলা হচ্ছে। তারপর তা বোতল বা জারে ভরে বিক্রি। সরকারি লাইসেন্স ছাড়াই রমরমিয়ে চলছে এই ব্যবসা।
মাটির উপরের জমির মালিকানা নির্দিষ্ট। কিন্তু, মাটির তলায় যে জল পাওয়া যায়, তার কোনও মালিকানা নেই। মাটির তলা থেকে কতটা জল তোলা যাবে তা নিয়ে কোনও আইনও নেই ৷
advertisement
ফলে যে যার মতো জল তুলছেন। সেই নিয়ে চলছে ব্যবসা। যা থেকে একটা পয়সাও সরকারের ঘরে ঢুকছে না। উল্টে দিন দিন কমছে জলস্তর।
রাজ্যের বেশিরভাগ জেলার মতোই মুর্শিদাবাদেও ভূগর্ভস্থ জলই সাধারণ মানুষের বড় ভরসা ৷ অনেক দিন আগেই মুর্শিদাবাদের বেশিরভাগ ব্লকের ভূগর্ভস্থ জলে মিলেছে আর্সেনিক ৷ সরকারি তথ্য বলছে, এই জেলায় ভূগর্ভস্থ জলস্তর দিনদিনই কমছে। পরিস্থিতি এমনই যে মুর্শিদাবাদের ২৬টি ব্লকের মধ্যে ২৪টি ব্লককে ব্ল্যাক জোন হিসেবেও ঘোষণা করা হয়েছে ৷
সরকারি লাইসেন্স ছাড়াই হাজার হাজার বেআইনি জল-কারখানা চলছে শুধুমাত্র বহরমপুর ব্লকেই। এই সব কারখানায় জলের গুণমানের দিকে কোনও নজরই দেওয়া হয় না।
বেআইনি কারখানা থেকে জল বিক্রি করা হচ্ছে জলের দরে। কুড়ি লিটার জল পাওয়া যায় মাত্র পাঁচ টাকায়।
বহরমপুরের পাশাপাশি মালদহেও একই চিত্র ৷ কালিয়াচক-১, হরিশচন্দ্রপুর- ২, বামনগোলা, হবিবপুরে চলছে জল ডাকাতি ৷ ফলে এই ৪টি ব্লকে ভূগর্ভস্থ জলস্তর দিনদিন কমছে ৷
এই সব অবৈধ কারখানায় যে যার মতো ভূগর্ভস্থ জল তুলছেন এবং নষ্ট করছেন। সরকারি লাইসেন্স প্রাপ্ত কারখানাগুলিতে ১০ লিটার জল পরিশোধনে যে ৬ লিটার জল নষ্ট হয় তা ফের ভূগর্ভে পাঠানোর ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু, বেআইনি কারখানাগুলিতে ওই ৬ লিটার জলের পুরোটাই নষ্ট ৷
২৬টি ব্লকের মধ্যে ১৭টি সেমি ক্রিটিকাল। ৯টা সেফ। কতটা জল তোলা হচ্ছে এবং ভূগর্ভে পাঠানো হচ্ছে, সেটা দেখেই এরকম তকমা ৷