এই কারখানাগুলিতে বোরিং করে প্রতিদিনই যত ইচ্ছে ভূগর্ভস্থ জল তুলে নেওয়া হচ্ছে। জল তোলার ক্ষেত্রে পরিমাণও খেয়াল রাখার বালাই নেই। ভূগর্ভস্থ জল তোলার সময় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বেশিরভাগটাই। বেআইনি জল কারখানাগুলো সেই জল পুনর্ব্যবহারও করছে না। ১০০ লিটার ভূগর্ভস্থ জল তোলার সময় ৭০ শতাংশ নষ্ট হয়ে যায়৷ বৈধ জল কারখানাগুলি নষ্ট হওয়া জল পুনর্ব্যবহারের উপযোগী করে৷
advertisement
নষ্ট হওয়া জল অপচয় করে বেআইনি জল কারখানাগুলি৷ বেআইনি জল কারখানাগুলিতে ভূগর্ভস্থ জল তোলার পর পরিস্রুত করা হয়। কিন্তু ঠিক পদ্ধতিতে পরিস্রুত হয় কি না, তা অবশ্য কেউই জানেন না। কারখানা থেকে বোতলবন্দি হয়ে যে জল পুরুিলয়া শহরে বিকোচ্ছে, তা আদৌ কতটা নিরাপদ? েস প্রশ্নের উত্তর দেবে কে? জল কারখানার কর্মীরা বলছেন, তাঁরা সবটাই জানেন, কিন্তু নিরুপায়।
পশ্চিমবঙ্গ ভূগর্ভস্থ জল আইন ২০০৫ অনুযায়ী, ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে বৈধ লাইসেন্স ছাড়া ভূগর্ভস্থ জল তোলা বেআইনি৷ অনুমতি ছাড়া একমাত্র গৃহ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, উপাসনাস্থল, প্রাকৃতিক দুর্যোগ কবলিত ত্রাণ ও সামরিক বাহিনীর স্থায়ী আস্তানায় ভূগর্ভস্থ জল তোলা যাবে৷ আইন থাকলেও আইনকে বুড়ো আঙুল দেখানোই যেন নিয়ম। প্রশাসনের কাছে সব খবরও নেই। পুরুলিয়ায় কাঁসাইয়ের বুক থেকে অবাধে বালি লুঠের খবর দেখিয়েছিল নিউজ18 বাংলা। সেই পুরুলিয়াতেই মাটির নীচের জল লুঠ। প্রাকৃতিক সম্পদ লুঠ চলছে অবাধে। একদিন প্রকৃতির আর আমাদের দেওয়ার মত কিছু থাকবে তো? প্রশ্নটা কিন্তু ভাবাচ্ছে।