অভিযোগ ইসলামপুরের চক পঞ্চায়েতের গোয়াস কাজিপাড়া বুথের বিএলআরও অফিসের হেড ক্লার্ক গোয়াসের বাসিন্দা মানস কুমার সাহা ও তাদের দুই বন্ধু মিলে রাজ্য সড়কের ধারের কিছু গাছ কেটে ফেলেছে। এর প্রতিবাদে তৃণমূল পরিচালিত রানীনগর ১নং পঞ্চায়েত সমিতির বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ নারায়ন চন্দ্র দাস বিডিওকে অভিযোগ জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: কোভিড হাসপাতালে হাতির হানা, জারি ১৪৪ ধারা! বেনজির দৃশ্য জলপাইগুড়ি শহরে
advertisement
ওই ঘটনার প্রেক্ষিতে জমির মালিক পক্ষের লোক তৃণমূলের গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য বিল্লাল হোসেন জানান, ''আমরা কোন সরকারি জমির গাছ কাটিনি। বিরোধীরা আমাদের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে মিথ্যা অভিযোগ করেছে। আমরা নিজেরাও গাছ কাটিনা অন্য কাউকে গাছ কাটতে দিই না। ছোট ছোট কয়েকটি গাছ ও আগাছা কাটা হয়েছে, যা বিডিও অফিসের লোকেরা এসে দেখে গিয়েছে। আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করার পর বিডিও ও ওসি এসে সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখে গিয়েছেন।''
আরও পড়ুন: ভুয়ো কল-লেটার, শিক্ষক নিয়োগে সক্রিয় বড় জালিয়াত চক্র! নেপথ্যে কারা?
অন্যদিকে বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ নারায়ন চন্দ্র দাস জানান, মিন্টু সাহা, প্রদ্যুৎ প্রামাণিক, ঈশাদ সরকার ও বিল্লাল হোসেন এই গাছ কাটার ঘটনায় যুক্ত রয়েছে। সরকারি জমির গাছই নয়, খাস জমিও দখল করার চেষ্টা করেছে। গোয়াস কাজিপাড়ায় চার বন্ধুর আড়াই বিঘা জমি রয়েছে, যা তারা জমির আসল মালিক দিলীপ কুমার দাসের কাছ থেকে খরিদ করেছে। তা নিজেদের আয়ত্বে নেওয়ার জন্যই জায়গার চৌহদ্দি ঘেরার জন্য পরিষ্কার করছেন। প্রায় ১০-১৫লক্ষ টাকার গাছ অন্যায় ভাবে কেটেছে। যারা এই ঘটনায় জড়িত রয়েছে তারা তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য বলেও দাবি করলেও তারা দলের সঙ্গে যুক্ত নেই। বিডিও মহম্মদ ইকবাল বলেন, ''গোটা বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। সরকারি জায়গার গাছ কাটা হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যারা এই ঘটনায় জড়িত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।''