শহর বা গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় কালীপূজার সময় তৈরি হয় বাজি কারখানা। যার মধ্যে অনেকগুলোই সরকার অনুমোদন করেনি বা বেআইনিভাবে তৈরি হয়েছে। এবার সেই সমস্ত বাজি কারখানার খবর দেওয়ার জন্য সাধারণ মানুষকে উৎসাহ দিল সরকার।
আরও পড়ুন- জমি দিয়েও চাকরি হল না! এদিকে শূন্য পদ ভর্তি হয়ে যাচ্ছে! আন্দোলন জমিহারাদের
advertisement
বেশিরভাগ সময় দেখা যায়, হঠাৎ করে তৈরি হওয়া কারখানা, যা প্রশাসনের নজরের আড়ালে চলে রমরমিয়ে, অনেক সময় স্থানীয় বাসিন্দাদের অসুবিধে হলেও জানানোর জায়গা থাকে না। এবার সেই সমস্ত ব্যক্তি বেআইনি কারখানার খোঁজ দিলেই ৫০০ টাকা পাবেন।
বৃহস্পতিবার পরিবেশ দফতরের বিভিন্ন প্রতিনিধি ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। পরিবেশ বাঁচাতে আদালতের নির্দেশ সবুজ বাজি বা গ্রিন ফায়ার ক্রাকার ব্যবহার করতে হবে, এই বৈঠক সেই বিষয় নিয়ে স্পষ্ট জানানো হয় যে সবুজ বাজি ছাড়া অন্য কোনওরকম বাজিতে কড়া মনোভাব বজায় রাখবে পরিবেশ দফতর ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ।
পুজোর সময় বাজি বিক্রেতাদের আবেদন করা হয় সবুজ বাজি ছাড়া অন্য বাজি যেন বিক্রি হয়। কালীপুজোর আগে কলকাতার বেশ কিছু জায়গায় আয়োজন হয় বাজি বাজারের। তাদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রীর আবেদন, তারাও যেন সবুজ বাজি বিক্রি করেন।
এছাড়াও সবুজ বাজি বিক্রি করা বা পোড়ানোর কারণ ও উপকারিতা সম্পর্কে বিজ্ঞাপন দেওয়া হবে বিভিন্ন মাধ্যমে, সেই কথাও স্থির হয় বৈঠকে। যদিও শব্দ বাজি কালীপুজো বা দীপাবলিতে পোড়ানো হচ্ছে কিনা জানতে এবার থাকছে রাজ্য জুড়ে ১৫০ টি সেন্টার। সেখানে দেখা যাবে কোন জায়গায় শব্দ দূষণ হচ্ছে, তা সেন্টারে খবর এলেই স্থানীয় পুলিশ পৌঁছে যাবে ওই স্থানে।
আরও পড়ুন- Birbhum News : কোটিপতি হওয়ার পথে নতুন বাধা! লটারি বিক্রি শুরু হলেও থাকছে জট!
এছাড়াও পরিবেশ দফতরের দেওয়া টোল ফ্রি সহ একাধিক নম্বরেরও অভিযোগ জানানো যাবে। যদিও কোন বাজি সবুজ বাজি, তার জন্য তা নিডি ও পেসোর অনুমতি নিতে হবে। ক্রেতাদের জন্য কিউআর কোড থাকবে বাজির মোড়কে। সেই কোড দেখা মাত্রই সবুজ বাজি নিশ্চিত হতে পারবেন ক্রেতারা, সে কথাই জানিয়েছেন মন্ত্রী মানষ রঞ্জন ভুঁইয়া।