এক দেশ থেকে অন্য দেশে বিভিন্ন ভারী ভারী জিনিসের আদান-প্রদান হয় মূলত জল পথে। এই জলযান ভয়ঙ্কর বিপদ ডেকে আনছে পরিবেশের। ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন সাধারণ মানুষ। ভয়ংকর তথ্য উঠে এসেছে গবেষণায়। পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি ভারতবর্ষের একাধিক বন্দর রয়েছে। চেন্নাই, ওড়িশা, হলদিয়া সহ দেশ-বিদেশের একাধিক বন্দরে প্রতিমাসে একাধিক জাহাজের আদান প্রদান ঘটে। জলপথে থাকা একাধিক শিপ চ্যানেলের মধ্য দিয়ে এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে মাল বহন করা হয়। এক দেশের সঙ্গে অন্য দেশের পণ্য পরিবহনের অন্যতম ভরসা জল যোগাযোগ। তবে জাহাজ থেকে ঘটছে ভয়ংকর দূষণ। এর থেকে যেমন জল দূষিত হচ্ছে অন্যদিকে তেমন পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে।
advertisement
পরিবেশে বাড়ছে নাইট্রোজেন অক্সাইড, কার্বনডাই-অক্সাইড সহ সালফার জাতীয় একাধিক দূষিত পদার্থের পরিমাণ। যা শুধু সমুদ্রে জলে ক্ষতি করছে তা নয়, প্রায় ৪০০ কিলোমিটার ব্যাস জুড়ে পরিবেশের ক্ষতি করছে এই জলযান। আইআইটি খড়্গপুরের সমুদ্র, নদী, বায়ুমন্ডল সম্বন্ধীয় ‘কোরাল’ বিভাগের সহযোগি অধ্যাপক জয়নারায়নণ কুট্টিপুরথ করোনার সময় থেকে জলপথের যানবাহন নিয়ে গবেষণা চালিয়েছেন। সম্প্রতি তার এই গবেষণাকে স্বীকৃতি দিয়েছে আন্তর্জাতিক সংশ্লিষ্ট মহল। তার গবেষণায় উঠে এসেছে করোনা কালে জাহাজ থেকে সৃষ্ট দূষণের মাত্রা এবং ধীরে ধীরে কতটা প্রভাব পড়ছে পরিবেশের উপর?
আরও পড়ুনঃ Viral Tea Shop: প্রকৃতির মাঝে চায়ের আমেজ, সঙ্গে থাকছে বিশেষ ব্যবস্থা! এই দোকানে আসতেই হবে
তিনি জানিয়েছেন ২০২৫ এর মধ্যে বিভিন্ন ধরনের পণ্য আদান-প্রদানের মাত্রা প্রায় ৪০% বৃদ্ধি পাবে। বাড়বে জাহাজের পরিমাণ। স্বাভাবিকভাবে পরিবেশের দূষণের মাত্রা বাড়বে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দফতর, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। সেক্ষেত্রে কম দূষণ ছড়ানো জাহাজের ব্যবহার বাড়ানো, দূষণ প্রতিরোধী নিত্যনতুন যন্ত্র ব্যবহার সহ একাধিক পরামর্শ দিয়েছেন এই অধ্যাপক। তবে তার এই গবেষণা রীতিমতআতঙ্ক বাড়িয়েছে সকলের।
রঞ্জন চন্দ