তবে এবার আইআইটি খড়্গপুরের এক অভিনব আবিষ্কার। অতি সহজে নিখুঁত এবং খুব অল্প সময়ে অধিক মাত্রায় বিভিন্ন নমুনা পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব। কয়েক মিনিটে কয়েকশ নমুনা পর্যবেক্ষণ করতে পারবে বিজ্ঞানীদের তৈরি এই বিশেষ পদ্ধতি। যা ইতিমধ্যেই সারা ফেলেছে চিকিৎসা বিজ্ঞানে। আইআইটি খড়্গপুরের নতুন আবিষ্কার \”ফাস্ট ভাইরাল ডায়াগনস্টিক\”।
আরও পড়ুন- মনমোহনের ‘গুণী’ ৩ কন্যাকে চেনেন? বাবার চেয়ে কম নন কেউ! কী করেন তাঁরা? জানলে চমকাবেন
advertisement
বেশ কয়েক বছর ধরে বিজ্ঞানীদের গবেষণায় এমন অবাক করা বিষয় সামনে এসেছে। আইআইটি খড়্গপুরের অধ্যাপক তরুণকান্তি ভট্টাচার্যের পৃষ্টপোষকতায় বিজ্ঞানী অধ্যাপক বাসুদেব লাহিড়ীর নেতৃত্বে পূজা লাহিড়ী সহ বেশ কয়েকজন গবেষক পড়ুয়া এমন উদ্ভাবনী আবিষ্কার সামনে এনেছেন।প্রসঙ্গত করোনাকালে নিখুঁত নমুনা পরীক্ষা এবং সঠিক ডায়াগনস্টিক বেশ সহজসাধ্য ছিল না। একটি নমুনার তথ্য পেতে লাগতবেশ অনেকটা সময়। শুধু তাই নয় অন্যান্য নমুনা পরীক্ষায়ও বেশ অনেকটা সময় লাগতো। তবে এবার বিজ্ঞানীদের আবিষ্কার এ এসেছে নয়া তথ্য। ফাস্ট ভাইরাল ডায়াগনস্টিক: যা FTIR(Fourier Transform Infrared) নির্ভর পর্যবেক্ষণ। যার ফলে, নমুনায় থাকা বিশেষ জীবাণুর পর্যবেক্ষণ অত্যন্ত সহজ।
বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, ইনফ্রারেড মাইক্রো স্পেকট্রোসকপি এর মধ্য দিয়ে ভাইরাস পর্যবেক্ষণের চেষ্টা করেছেন। যে ক্ষেত্রে কোনও কোষ অথবা বিভিন্ন তরল উপাদান থেকে সহজে বিভিন্ন জীবাণু শনাক্তকরণ সম্ভব। সেক্ষেত্রে ইনফ্রারেড তরঙ্গ ফেলে বিভিন্ন উপাদান থেকে তরঙ্গ বিচ্ছুরণের মধ্য দিয়ে সেই উপাদানের সঠিক পরিমাণ, মাত্রা শনাক্ত করা যাবে খুব দ্রুত এবং মাত্র পাঁচ মিনিটে ৩০০ থেকে ৪০০ নমুনা অতি সহজে শনাক্ত করা যাবে। প্রাথমিকভাবে ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং করোনা ভাইরাস নিয়ে গবেষণা করেছেন অধ্যাপকরা। পরবর্তীতে ডেঙ্গু ও চিকেনগুনিয়া ভাইরাসেও সফলতা মিলেছে।
বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, এই বিশেষ পদ্ধতির মধ্য দিয়ে করোনাকালে কোভিড ভাইরাস শনাক্তকরণের আরটিপিসিআর টেস্ট এর থেকেও অত্যন্ত কার্যকরী এবং নিখুঁত এই পদ্ধতি। ফোরিয়ার ট্রান্সফর্ম ইনফ্রারেড মাইক্রোস্কোপি, স্পেক্ট্রাল এনালাইসিস এবং মেশিন লার্নিং ব্যবহার করে স্ট্রেইন টাইপিং এর মধ্য দিয়ে সার্স কোভিড ভাইরাস এর গঠনমূলক চরিত্রায়ন সম্ভব। শুধু তাই নয় বিভিন্ন ধরনের নমুনাও পর্যবেক্ষণ করা যায় এই বিশ্বাস পদ্ধতি মধ্য দিয়ে।
রঞ্জন চন্দ