কয়েকদিন আগেই দুর্বল হয়ে যাওয়া সাঁকোটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছিল, সেই খবর প্রকাশিত হয় সংবাদমাধ্যমে। সেসময় গ্রামবাসীদের দাবি ছিল, হাসপাতালে যাতায়াত, বিডিও অফিস, থানা ও অন্যান্য প্রয়োজনে পারাপারের জন্য প্রয়োজন একটি পাকা সেতু। কিন্তু সেই দাবি পূরণ হয়ই নি, তার ওপর এদিন হঠাৎই ভেঙে যায় নড়বড়ে বাঁশের সেতু, তলিয়ে যায় নদীর জলে।
advertisement
আরও পড়ুন: নেই নিকাশি ব্যবস্থা, মেছোভেড়ি উপচে মাছ নদীতে! মাথায় হাত বসিরহাটের মাছচাষিদের
উত্তর ২৪ পরগনার ইছামতি পারাপারের একমাত্র ভরসা ভেঙে যাওয়ায় কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে কয়েক হাজার মানুষের দৈনন্দিন যাতায়াত। শিক্ষার্থীরা স্কুলে যেতে পারছে না, কৃষকেরা বিপাকে পড়েছেন ফসল বাজারে নিয়ে যেতে না পারায়। কোনও রোগী অসুস্থ হলে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ারও উপায় নেই বলে অভিযোগ।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
বর্ষার মধ্যে নদীতে জলস্তর বাড়ায় বিপদের ঝুঁকি আরও বেড়েছে। দীর্ঘদিন ধরে এই অঞ্চলের মানুষ কংক্রিটের সেতুর দাবি জানালেও কাজের কাজ কিছু হয়নি। ঘটনার পর এলাকার মানুষ ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্রুত বিকল্প ব্যবস্থা ও স্থায়ী সেতু তৈরির দাবি জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা। পঞ্চায়েত ও ব্লক প্রশাসনের আশ্বাস, দ্রুত অস্থায়ী সাঁকো তৈরি করে পারাপার চালুর চেষ্টা হবে, তবে মানুষ চাইছেন স্থায়ী সেতুর প্রতিশ্রুতি দ্রুত বাস্তবায়ন হোক।
জুলফিকার মোল্যা