পরকীয়া সম্পর্কের জেরে সোমবার রাতে এমনই নৃশংস ঘটনা ঘটল দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার কুলপির তুলসির চক এলাকায়৷ জাতীয় সড়কের উপর থেকেই গৌতম হালদার নামে ওই ব্যক্তির রক্তাক্ত এবং ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ৷ এই ঘটনায় নিহতের স্ত্রী মল্লিকা হালদার এবং তাঁর প্রেমিক গুরুদাস গায়েনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷
আরও পড়ুন: স্যুটকেসে মহিলার দগ্ধ দেহ, তদন্তে নেমে দাদা বোনের লিভ-ইন সম্পর্কের খোঁজ পেল পুলিশ
advertisement
স্থানীয় সূত্রে খবর, দীর্ঘদিন ধরেই স্ত্রীর পরকীয়া সম্পর্ক নিয়ে ওই দম্পতির মধ্যে অশান্তি চলছিল৷ তাঁদের একটি কন্যাসন্তানও রয়েছে৷ বিষয়টি মিটমাটের জন্য স্থানীয় পঞ্চায়েতও অতীতে হস্তক্ষেপ করেছিল৷ অভিযোগ, তার পরেও আমতলার বাসিন্দা গুরুদাসের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রেখেছিলেন গৌতমবাবুর স্ত্রী মল্লিকা৷
পেশায় টোটো চালক গৌতমবাবু সোমবার বাড়িতে ছিলেন না৷ রাতে টোটো নিয়ে বাড়ি ফিরে তিনি দেখেন সেখানে স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর প্রেমিক গুরুদাস রয়েছে৷ এর পরই ফের তিন জনের মধ্যে শুরু হয় অশান্তি৷ অভিযোগ, তখনই বছর পয়তাল্লিশের গৌতমবাবুকে কোদালের বাঁট দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যায় তাঁর স্ত্রীর প্রেমিক৷
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে কুলপি থানার পুলিশ৷ প্রথমে গৌতমবাবুর স্ত্রী মল্লিকাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ৷ এর পর রাতেই গ্রেফতার করা হয় ওই গৃহবধূর প্রেমিক গুরুদাসকেও৷ গ্রেফতার করা হয়েছে গৌতমবাবুর স্ত্রী মল্লিকাকেও৷