সরকারি হস্তক্ষেপের দাবি জানাচ্ছেন এই যুবক। জানা গিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ থানার বোয়ালদহ এলাকার বাসিন্দা প্রসেনজিৎ চৌধুরী। তাঁর স্ত্রী ফাল্গুনী রায়কে বাংলাদেশ থেকে ফেরানোর জন্য দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন দফতরে আবেদন জানালেও এখনও পর্যন্ত কোনও সরকারি উদ্যোগ দেখা যায়নি। তাঁর দাবি, ফাল্গুনী একজন ভারতীয় নাগরিক এবং বৈধ নথিপত্র নিয়ে বাংলাদেশে গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়েই বিপদে পড়ে তাঁকে জেলে যেতে হয়। তবুও ভারত সরকার তাঁর প্রত্যাবর্তনের জন্য কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি বলে দাবি।
advertisement
আরও পড়ুন: দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হারের পরেই গদি টলমল ভারতের দুই তারকার! টি২০ দলে কি বড় পরিবর্তন?
প্রসেনজিতের অভিযোগ অনুযায়ী, ফাল্গুনী রায়ের প্রথম বিবাহ হয়েছিল বনগাঁ থানার ট্যাংরা কলোনির এক ব্যক্তির সঙ্গে, যিনি ভারতীয় পরিচয় ব্যবহার করলেও আসলে ছিলেন বাংলাদেশি। বিবাহিত জীবনে তাঁদের একটি পুত্রসন্তান জন্মায়। পরে ফাল্গুনী জানতে পারেন তাঁর স্বামী বাংলাদেশি নাগরিক। সেই থেকেই দাম্পত্য জীবনে বিবাদের সূচনা। কিছুদিন পরে প্রথম পক্ষের স্বামী চোরাপথে বাংলাদেশে পালিয়ে যায়, ছেলে নিয়ে ফাল্গুনী একাই থাকতে শুরু করেন।
পরে ফের ভারতে ফিরে এসে কিছুদিন সংসার করলেও পুনরায় বিবাদের জেরে ওই ব্যক্তি আবার ছেলেকে নিয়ে চোরাপথে বাংলাদেশে চলে যায়। এরপরই ফাল্গুনীর সঙ্গে পরিচয় হয় প্রসেনজিতের। দু’জনেই বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। ২০২৩ সালে ছেলে সম্পর্কে খোঁজ নিতে ভারতীয় পাসপোর্ট ও ভিসা নিয়ে পেট্রাপোল সীমান্ত হয়ে বাংলাদেশে যান ফাল্গুনী। অভিযোগ, সেখানে তাঁর প্রথম পক্ষের স্বামী তার পাসপোর্ট ও অন্যান্য ভারতীয় পরিচয়পত্র কেড়ে নেয় এবং প্রাণে মারার হুমকি দেয়। বিপদের মুখে তিনি প্রসেনজিতকে খবর দেন এবং প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশ বিডিআর-এর কাছে ছুটে যান। কিন্তু বৈধ পরিচয়পত্র না থাকায় তাঁকে বাংলাদেশ পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: এশিয়া কাপে ঝড় বৈভবের! ৯৫ বলে ১৭১ রান করে নজির সূর্যবংশীর, কাদের বিরুদ্ধে রেকর্ড গড়লেন?
ঘটনার কথা জানতে পেরে প্রসেনজিৎও বৈধ ভিসা ও পাসপোর্ট নিয়ে ঝিনাইদহে পৌঁছে বাংলাদেশের থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পরে জানতে পারেন, ফাল্গুনী জেলবন্দি। আদালতে তিনি ফাল্গুনীর বৈধ প্রবেশের নথিপত্র দেখালে আদালত সাজা মুকুব করে দেন। এরপর প্রসেনজিৎ ভারতে ফিরে বিদেশ মন্ত্রক, জেলা শাসক ও এসপি অফিসে একাধিকবার আবেদন করেন ফাল্গুনীকে ফিরিয়ে আনার জন্য। কিন্তু তাঁর দাবি, আজ পর্যন্ত কোনও কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি তার স্ত্রীকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য। প্রসেনজিতের আক্ষেপ, স্ত্রী একজন ভারতীয় নাগরিক। বৈধভাবে বাংলাদেশে গিয়ে বিপদে পড়েছে। ভারত সরকারের কাছে বারবার অনুরোধ করেছি যেন তাকে ফিরিয়ে আনা হয়। কিন্তু এখনও কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এখন দেখার কতদিনে টনক নড়ে প্রশাসনের, আর স্ত্রীকে ফিরে পান এই অসহায় স্বামী।
