এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল উত্তেজনা ছড়াল পূর্ব বর্ধমানের আউসগ্রামের দারিয়াপুরে৷ ঘটনার পরই মৃতের স্ত্রী এবং তাঁর প্রেমিককে আটকে রাখেন ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা৷ তাঁদের মারধরও করা হয়৷ মৃতদেহ উদ্ধারে গেলে এবং ওই যুগলকে ছাড়াতে গেলে পুলিশের সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দাদের ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়৷ ঘটনায় আহত হন মৃত যুবকের স্ত্রী এবং তাঁর প্রেমিকও৷
advertisement
আরও পড়ুন: বিধবা ভাড়াটিয়ার সঙ্গে প্রেম, বৃদ্ধের পরিণতি হল মর্মান্তিক! সম্পত্তির লোভে পুড়িয়ে মারল প্রেমিকাই
জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম উৎপল কর্মকার (৩৭)৷ স্থানীয় সূত্রে খবর, উৎপল এবং তাঁর স্ত্রী একটি পুত্র এবং কন্যাসন্তান রয়েছে৷ কিন্তু একই পাড়ার বাসিন্দা সুরেশ কর্মকারের সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন উৎপলের স্ত্রী লক্ষ্মী৷ সুরেশ নামে ওই যুবকও বিবাহিত৷ তাঁর চার মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে৷
স্ত্রীর পরকীয়ার কথা আগেই জানতে পেরেছিলেন উৎপল৷ সোমবার রাতে স্ত্রী লক্ষ্মীর সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে দেয় প্রেমিক সুরেশ৷ এই ঘটনা জানার পরই হতাশায় আত্মহত্যা করেন উৎপল৷ বাড়িতেই উদ্ধার হয় তাঁর ঝুলন্ত দেহ৷
উৎপলের মৃত্যুর খবর জানাজানি হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকার বাসিন্দারা৷ দেহ আটকে রাখার পাশাপাশি মৃতের স্ত্রী এবং তাঁর প্রেমিককেও আটকে রাখা হয়৷ পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধারে গেলে প্রথমে বাধা দেন স্থানীয় গ্রামবাসীদের কয়েকজন৷ পুলিশকে ঘিরে ধরে শুরু হয় বিক্ষোভ৷
আটক সুরেশ এবং লক্ষ্মীকে উদ্ধার করতে গেলেও পুলিশের সঙ্গে গ্রামবাসীদের ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়৷ শেষ পর্যন্ত দু জনকে উদ্ধার করা হয়৷ সুরেশকে গুসকরা পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়৷ লক্ষ্মীর আঘাত বেশি হওয়ায় তাঁকে গুসকরা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করে পুলিশ৷ উৎপলের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে৷