পূর্ব বর্ধমানের মেমারিতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ভরা পুকুরে পড়ে চারচাকা গাড়ি। স্বামী উঠে এলেও উঠতে পারেননি স্ত্রী, বেশ কিছুক্ষণ পর মিলল তাঁর মৃতদেহ। সব শুনে মনে হবে নিছকই একটি দুর্ঘটনা। কিন্তু মৃত মহিলার বাপের বাড়ির আত্মীয়দের অভিযোগ, তাঁদের মেয়েকে খুন করতেই পরিকল্পিতভাবে এই ঘটনা ঘটিয়েছে তার স্বামী। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে শেখ মফিজুল ওরফে মুকুলকে গ্রেফতার করেছে মেমারি থানার পুলিশ। মৃত আশমাতারা বিবি ওরফে আশার মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য বর্ধমান মেডিকেলের পুলিশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: নদিয়ায় ভয়াবহ দুর্ঘটনা, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীকে ধাক্কা বেপরোয়া ট্রাকের! পিষে গেলেন মহিলা
আশমাতারার বাপের বাড়ির আত্মীয়দের দাবি, এটা একটি পরিকল্পিত খুন। বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিল মুকুল, এক বছর ধরে অন্য মহিলার সঙ্গে সম্পর্কে ছিল সে। আশা প্রতিবাদ করলে কপালে জুটতো অত্যাচার। আশাকে পরিকল্পনা করে মেরে দিয়ে এখন দুর্ঘটনার নাটক করছে স্বামী মুকুল।
শুত্রবার রাতে এই ঘটনা ঘটে মেমারির ঘোষ এলাকায়। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পুকুরে জলে পড়ে চারচাকা গাড়ি সহ দম্পতি। স্বামী কোনও রকমে পুকুরের জল থেকে উঠে এলেও স্ত্রীকে খুঁজতে পুকুরে জাল ফেলা হয়।বর্ধমান থেকে নিয়ে আসা হয় সিভিল ডিফেন্সের ডুবুরির দল। অবশেষে স্থানীয়দের সহায়তায় জাল ফেলে পুকুর থেকে উদ্ধার হয় আশমাতারার দেহ।
আরও পড়ুন: ঢাকায় বিমানবন্দরে বড় দুর্ঘটনা, দাউ দাউ করে আগুন! বন্ধ হয়ে গেল বিমান ওঠানামা
একটি গাড়িতে করে শেখ মফিজুল ওরফে মুকুল ও তার স্ত্রী আশমাতারা বিবি ওরফে আশা বর্ধমানের দিক থেকে আসছিল। মেমারি ঘোষ এলাকায় কাছে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পুকুরে নেমে যায় গাড়িটি। স্বামী শেখ মফিজুল কোনভাবে উঠে আসতে সক্ষম হলেও উঠে আসতে পারেননি আশমাতারা বিবি। পরে পুকুর থেকে তার দেহ উদ্ধার হয়। ১৫ বছর আগে মুকুলের সাথে বিয়ে হয় আশার। তাদের একটি সন্তানও রয়েছে। এই ঘটনায় তাজ্জব সকলেই।