#পুরুলিয়া: স্ত্রী জন মজুর। লকডাউনে আটকে পড়েছেন। ঠাঁই হয়েছে কোয়ারান্টাইন সেন্টারে। পুরুলিয়ার মানবাজারে গলায় দড়ির ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হলেন তাঁর স্বামী। সেই খবর পেয়ে পূর্ব বর্ধমানের মেমারির নিমো কোয়ারেন্টাইন সেন্টার থেকে মৃতের স্ত্রীকে পুরুলিয়া পাঠানোর ব্যবস্থা করল জেলা প্রশাসন। পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক বিজয় ভারতী জানান, মেমারির নিমোয় ৮৪ জন আদিবাসী শ্রমিক আটকে রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে মৃত ওই ব্যক্তির স্ত্রীও রয়েছেন বলে আমরা খবর পেয়েছি। মৃত ওই ব্যক্তির স্ত্রীকে প্রশাসনিক উদ্যোগে পুরুলিয়ার মান বাজারে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
advertisement
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, শুধুমাত্র পূর্ব বর্ধমান জেলায় ১৪ হাজার ৪৭৮ জন শ্রমিক আটকে রয়েছেন। এরা সকলেই ইটভাটা, হিমঘরে আলু মজুত, ধান রোয়া ও মাঠ থেকে আলু তোলার কাজ করার জন্য এই জেলায় এসেছিলেন। লকডাউনের জন্য আটকে পড়েছেন তাঁরা। তাঁদের প্রশাসনের উদ্যোগে চাল ডালসহ খাদ্য সামগ্রী দেওয়া হচ্ছে। জেলাশাসক বিজয় ভারতী জানান, আটকে পড়া শ্রমিকরা যাতে কোনো রকম সমস্যার মধ্যে না পড়েন, তাদের খাদ্য সুনিশ্চিত করা, ওষুধ চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
আটকে পড়া শ্রমিকদের মধ্যে বিহার, ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা সংখ্যায় সবচেয়ে বেশি। আটকে পড়া শ্রমিকদের মধ্যে ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা রয়েছেন ৮ হাজার ৬৪৭ জন। বিহার থেকে এসেছিলেন ৫ হাজার ২১৭ জন শ্রমিক। এছাড়াও আসাম থেকে আসা ৩৪ জন, দিল্লি থেকে আসা ২ জন, হরিয়ানা থেকে আসা ১ জন, কেরালা থেকে আসা ২ জন আটকে রয়েছেন। তেমনই মহারাষ্ট্র থেকে আসা ১৪ জন, ত্রিপুরা থেকে আসা ২৫ জন, ওড়িশা থেকে আসা ৬০ জন, উত্তরপ্রদেশ থেকে আসা ৩৯০ জন, রাজস্থান থেকে আসা ৫৭ জন, উত্তরাখন্ড থেকে আসা ১ জন শ্রমিক আটকে রয়েছেন পূর্ব বর্ধমান জেলার বিভিন্ন ব্লকে। এইসব শ্রমিকদের বাড়ি ফেরানোর জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে রাজ্য সরকার। ৩ মে’র পর তাঁদের ফেরানোর ব্যবস্থা হতে পারে বলে আশা করছে জেলা প্রশাসন।