এই বিষয়ে শম্ভুনাথ দত্ত নামের একজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক জানিয়েছেন, “আমরাও হ্যারিকেন নিয়ে পড়তে যেতাম। হ্যারিকেন কেরোসিন তেল এবং সলতে ব্যবহার করে জ্বালানো হত। হ্যারিকেনের কাচ হত গোল আবার লম্বা। প্রযুক্তি উন্নতি হওয়ার কারণে আর ব্যবহার হয়না। এখন সব বাড়িতেই বিদ্যুতের আলো।”
বেশ কয়েকবছর আগে হ্যারিকেনের আলোতেই পড়াশোনা করতে হত সকলকে। সে সময় দৈনিক জীবনযাত্রার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে থাকত হ্যারিকেন। ঘন অন্ধকারের মাঝে আলো দিত এই হ্যারিকেন। তখন এই টেবিল ল্যাম্প, বৈদ্যুতিক আলোর কোনও প্রভাব ছিল না। বর্তমান প্রজন্ম জানেই না যে হ্যারিকেন কী জিনিস। এখন তারা বৈদ্যুতিক আলোয় পড়াশোনা করে। বিদ্যুৎ চলে গেলেও থাকে নিত্যনতুন টেবিল ল্যাম্পের ব্যবস্থা। কিন্তু সে সময় হ্যারিকেনের আলোয় পড়াশোনা করে বহু মানুষ বড় বড় জায়গায় পৌঁছে গিয়েছেন। হ্যারিকেনের সত্যিই এক আলাদা ঐতিহ্য ছিল। এই হ্যারিকেন প্রসঙ্গে দিব্যেন্দু দত্ত নামের এক সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র জানিয়েছে, “হ্যারিকেন কী জিনিস আমি সেটাই জানি না। বিদ্যুতের সংযোগ চলে গেলে এখন টেবিল ল্যাম্প নিয়ে পড়াশোনা করি।”
advertisement
আরও পড়ুন : ফল হলেও শিঙাড়া! হজমের সমস্যা থেকে রেহাই পেতে কামড় দিন এই তিনকোনা ফলে
বাড়িতে এখনও খুঁজে দেখলে হয়তো হ্যারিকেনের দেখা পাওয়া যাবে। ঘরের কোনও এক কোণে হয়তো অবহেলায় পড়ে রয়েছে সেই জিনিস। এখন আর তার প্রয়োজন পড়ে না। হ্যারিকেন জ্বালাতে আর লাগে না কেরোসিন তেল এবং সলতে। হ্যারিকেন এখন ঢেকে থেকে মাকড়সার জালে। অন্ধকারে একসময় যে আলো দিত, যাকে ছাড়া চলা ছিল অসম্ভব, তাকে আজ সবাই ভুলেই গিয়েছে। আধুনিকতার যুগে বিলুপ্তির পথে পুরানো ঐতিহ্য হ্যারিকেন। বর্তমান প্রজন্ম এবার গল্পকথায় শুনবে হ্যারিকেনের গল্প।