দেবীপক্ষের মধ্যাহ্নে যখন সবাই ব্যস্ত নিজেকে সাজাতে ঠিক তখনই বীরভূম জেলা পুলিশ ছুটে চলেছে অন্যের মুখে হাসি ফোটাতে। কখনও কোনও গ্রামে করছেন বস্ত্র দান, তো কোথাও আবার ব্যস্ত বানভাসিদের ত্রাণ পাঠতে। ঠিক সে রকমই এবার পুজোয় নতুন অভিনব উদ্যোগ নিয়েছেন বীরভূম জেলা পুলিশ, ভবঘুরেদের সাজিয়ে তুলতে। যাঁরা দিনের পর দিন রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়ান, নেই কোনও ঠিকানা, নেই কোনো আপনজন , ঠিক এই পুজোয় তাদেরই আপনজন হয়ে পাশে দাঁড়িয়েছেন বীরভূম জেলা পুলিশ।
advertisement
আরও পড়ুন : ব্রিটিশ পুলিশের পাহারাতেই দশভুজার আরাধনায় সামিল হন ছদ্মবেশের আড়ালে থাকা বিপ্লবীরা
সেই মতোই এই পুজোর মধ্যে বীরভূমের সিউড়ি ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে রাস্তায় রাস্তায় খুঁজে বেড়িয়েছেন ভবঘুরেদের। তাঁরা ভারসাম্যহীন ভবঘুরে মানুষের কাছে গিয়ে, মাথায় চুল কাটিয়ে, স্নান করিয়ে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে নতুন পোশাক পরিয়ে আবার তদের পৌঁছে দিচ্ছেন তাদের যথা স্থানে।
আরও পড়ুন -নাগরিক কোলাহল ছেড়ে পুজোর ছুটিতে উপকথা শুনতে কান পাতুন হাঁসুলীবাঁকের পাশে
দেখা বীরভূমের সিউড়ির বুকে এমনই একজন ভবঘুরে ভারসাম্যহীন দুঃস্থ মানুষকে সিউড়ি ট্রাফিকের ওসি সুমন প্রামাণিক বাইকে করে চাপিয়ে নিয়ে গিয়ে স্নান করিয়ে নতুন জামা পরিয়ে ও কিছু খাবার দিয়ে যথাস্থানে পৌঁছে দিলেন। এই ভাবেই একের পর এক রাস্তার বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে পুলিশ খুঁজে বেড়াচ্ছে সেই সকল ভবঘুরেদের । চেষ্টা চালাচ্ছে পুজোতে বাচ্চাদের মুখে হাসি ফোটানোর, পাশাপাশি এই দুঃস্থ ভারসাম্যহীন মানুষগুলোর মুখেও হাসি ফোটানোর । এই বিষয় নিয়ে সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ ও সঙ্গে সঙ্গে এমন উদ্যোগকে উৎসাহ দেয় তারা ।পুলিশসুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠি এই বিষয়ে জানান, "প্রত্যেক পুজোতেই সবার মুখে হাসি ফোটাতে এগিয়ে আসে পুলিশ। তাই এই পুজোতে হাসি ফোটানোর অন্য রকম উদ্যোগ। শুধু বীরভূমের সিউড়িই নয়, বিভিন্ন জায়গার ভবঘুরে ভারসাম্যহীন মানুষদের নিয়ে এসে নতুন পোশাকের সঙ্গে কিছু খাবার দেওয়া হবে পুলিশের তরফ থেকে। তাদের মুখে হাসি ফুটুক, এটাই চায় বীরভূম জেলা পুলিশ।