বারুইপুর থেকে ৯৬ চাকার আর একটি বিশেষ চালক-বিহীন স্বয়ংক্রিয় গাড়িতে সেটি নিয়ে যাওয়া হয় সুভাষগ্রামে। গত ২৬ এপ্রিল বজবজ থেকে যাত্রা শুরু করেছিল ট্রান্সফর্মারটি। বারুইপুরে পৌঁছয় তারপর। সেখান থেকে পৌঁছয় সুভাষগ্রামে।
advertisement
বিশাল ট্রান্সফর্মার ঘিরে হইচই পড়ে যায় এলাকায়। রাস্তায় এটি দেখতে ভিড় করেন কাতারে কাতারে মানুষ। পাওয়ার গ্রিডের আধিকারিকেরা জানান, এত বড় গাড়ি নিয়ে দীর্ঘ সড়ক পথ পেরনো সহজ ছিল না। মূলত রাতেই চলত গাড়ি। এক সঙ্গে বেশি দূরত্ব পেরনো যেত না। পরিকাঠামোগত কারণেও বিরতি নিতে হত। যাওয়ার পথে রাস্তায় বড় হোর্ডিং, বিদ্যুতের তার থাকলে, সেই সব সামলে তবেই এগোতে হত। এর জন্য গাড়ির সঙ্গেই কর্মীদের একটা বড় দল ছিল। এলাকার মানুষের ভিড়ও সামাল দিতে হয়েছে। এর জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানান আধিকারিকেরা।
খারাপ আবহাওয়ার কারণেও যাত্রা বন্ধ রাখতে হয়েছিল কিছু দিন। ১৫ জুনের মধ্যে নতুন ট্রান্সফর্মারের সুবিধা মিলবে বলে পাওয়ার গ্রিড সূত্রের খবর। পাওয়ার গ্রিডের কলকাতা রিজিওনের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার পার্থ ঘোষ বলেন, “নতুন ট্রান্সফর্মার চালু হলে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থায় লক্ষণীয় পরিবর্তন আসবে। চার জেলার মানুষই উপকৃত হবেন। বিশেষ করে কলকাতা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার মানুষ এর বড় সুফল পাবেন।
৫০০ এমভিএ (মেগা ভোল্ট অ্যাম্পিয়ার) বিদ্যুৎ সরবরাহ ক্ষমতাসম্পন্ন নতুন ট্রান্সফর্মার বসছে সোনারপুরের সুভাষগ্রামের পাওয়ার গ্রিডে। এর ফলে ওই পাওয়ার গ্রিডের বিদ্যুৎ সরবরাহ ক্ষমতা অনেকটাই বাড়তে চলেছে। সুভাষগ্রামের ওই পাওয়ার গ্রিড থেকে কলকাতা ছাড়াও উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ হয়। নতুন ট্রান্সফর্মার বসার ফলে এই সব এলাকার মানুষ উপকৃত হবেন বলে দাবি পাওয়ার গ্রিড কর্তৃপক্ষের
সুমন সাহা