এক বছর আগে ভরতপুর থানার জোরগাছি গ্রামের বাসিন্দা জাহিরুল হকের সঙ্গে বিয়ে হয় আমলাই গ্রামের তাজমিরা খাতুনের। স্বামী দিনমজুর, সেই করেই দিনগুজরান হয়। বুধবার প্রসব যন্ত্রনা নিয়ে কান্দি মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাজমিরা খাতুনকে। পরিবার থেকে সিজার করার জন্য বলা হলেও সিজার করা হয়নি বলে অভিযোগ। এরপরেই চিকিৎসকেরা জানান গর্ভেই তাঁর সন্তানের মৃত্যু হয়েছে। তারপর কোনও চিকিৎসক আসেননি বলে অভিযোগ।
advertisement
এরপরেই তাজমিরার শারিরীক অবস্থার অবনতি হয় ও সকালে মৃত্যু হয় তাজমিরার। পরিবারের অভিযোগ নার্স ও চিকিৎসকদের চিকিৎসার গাফিলতির কারনেই মৃত্যু হয়েছে সন্তান ও তাজমিরার। এরপরেই হাসপাতাল সুপারকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন মৃতের পরিবারের লোকেরা। স্বামী জাহিরুল হক বলেন, ‘‘প্রসব যন্ত্রনা শুরু হওয়ায় আমরা হাসপাতালে নিয়ে এসে ভর্তি করি। তারপরেই চিকিৎসক জানান পেটেই সন্তানের মৃত্যু হয়েছে। আমরা বারবার বলেছিলাম সিজার করার জন্য কিন্তু চিকিৎসকেরা রাজি হয়নি। সেই কারনেই তাজমিরার মৃত্যু হয়েছে। আমরা চিকিৎসকের কঠোর শাস্তি চাই।’’
মা সুষমা বিবি বলেন, ‘‘নার্স ও চিকিৎসকেরা আমাদের সঙ্গে খুব খারাপ ব্যবহার করেছে। আমাদের কোনও কথাও শোনেননি, ভেতর থেকে বার করে দিয়েছে। আমার মেয়েটার সিজার হলে হয়ত প্রানে বেঁচে যেত।’’ হাসপাতাল সুপার ডাঃ রাজেশ সাহা বলেন, ‘‘হাসপাতালে ভর্তির আগেই ওই প্রসূতির পেটে সন্তানটি মারা যায়। তবে চিকিৎসকেরা ঠিকমতোই চিকিৎসা প্রক্রিয়া শুরু করেছিলেন। তবে পরিবারের অভিযোগ মত ওই প্রসূতির মৃত্যুর সঠিক কারন জানতে আমরা তদন্ত কমিটি গঠন করেছি।’’
