অন্য সময় শহরের উৎসব ময়দান ও টাউন হল ময়দানে প্রতিমা বিক্রির বাজার বসে থাকে। কালী প্রতিমা থেকে শুরু করে সরস্বতী প্রতিমা সেখানেই বিক্রি হয়। এই করোনা পরিস্থিতিতে সেই দুটি মাঠ ফাঁকা পড়ে থাকা সত্ত্বেও কেন কার্জন গেট চত্বরেই প্রতিমা বিক্রি অনুমতি দিল প্রশাসন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বর্ধমান শহরের বাসিন্দারা।
advertisement
এমনিতেই নানা প্রয়োজনে বাসিন্দাদের শহরের প্রাণকেন্দ্র কার্জন গেটে আসতে হয়। তার ওপর সেই এলাকার রাস্তার দু'পাশ দখল করে বসেছে প্রতিমার পসরা। নদীয়া থেকে শুরু করে রাজ্যের অনেক জায়গা থেকেই ট্রাক বোঝাই করে প্রতিমা এনে পসরা সাজিয়েছেন বিক্রেতারা। স্থানীয় মৃৎ শিল্পীদের তৈরি প্রতিমাও রয়েছে।
বুধবার থেকে শুরু হয়েছে প্রতিমা বিক্রি। শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সমানে সেই প্রতিমা বিক্রি চলছে। প্রতিমা বিক্রিকে ঘিরে বসেছে ফুলমালা সহ প্রতিমা সাজানোর নানা উপকরণ,ফলের বাজার। সেজন্য জনবহুল কার্জন গেট এলাকায় গত তিনদিন ধরে ব্যাপক ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
বাসিন্দারা বলছেন,উৎসব ময়দানে দূরত্ব বজায় রেখে প্রতিমার বাজার বসানো যেত।সেখানেই ফল বিক্রির জায়গা নির্দিষ্ট করে দেওয়া যেত। তাতে একদিকে গাড়ি পার্কিং করে এক জায়গাতেই ফল প্রতিমা দশকর্মার সামগ্রী কিনে নিতে পারতেন ক্রেতারা। তাতে নানা জায়গায় ঘুরে বাজার করার ঝক্কি কমতো। আবার সেখানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাও সম্ভব হতো। ব্যাপক ভিড় থেকে রক্ষা পেত শহরের প্রাণকেন্দ্র কার্জন গেট এলাকায।
বাসিন্দাদের বক্তব্য,এই করোনা পরিস্থিতিতে ভিড় কমানোর ব্যাপারে বাসিন্দাদের সচেতনতার পাশাপাশি প্রশাসনিক পদক্ষেপও জরুরি। আগামী কালীপুজোয় যাতে উৎসব ময়দানে পুজোর সব সামগ্রী এক ছাতার তলায় নিয়ে আসা যায় তার ব্যবস্থা করুক প্রশাসন। তাতে করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা অনেকটাই কমবে বলে মনে করছেন বাসিন্দারা।কার্জন গেট চত্বরের লক্ষ্মীপুজোর বাজার বসা প্রসঙ্গে বর্ধমান পৌরসভা এক্সিকিউটিভ অফিসার অমিত কুমার গুহ বলেন, কোথায় প্রতিমার বাজার বসবে তা পুলিশ প্রশাসন ঠিক করে। এক্ষেত্রে পুরসভার তেমন কিছু করনীয় ছিল না। এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি এড়াতে পুলিশ প্রশাসন ও পুরসভার একসঙ্গে আগাম আলোচনা ও পরিকল্পনা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন তিনি।
Saradindu Ghosh