১৮৭৫ সালে মহিয়ারী ভট্টাচার্য বাড়ির পুজোর সূচনা হয়। সে সময় ভট্টাচার্য বাড়ির পুজো মানে বেশ আকর্ষণীয়। এই পুজোকে কেন্দ্র করে পুরনো বেশকিছু রীতি বর্তমান সময়েও চালু রয়েছে। প্রতিপদ থেকে ঘট স্থাপন ও চণ্ডীপাঠ শুরু হয়। সপ্তমী অষ্টমী এবং নবমী তিন দিন তিন রকম মাছের আমিষ ভোগ দেওয়ার রীতি রয়েছে। এবং দশমীর দিন পান্তাভাতের ভোগ নিবেদন করা হয় মাকে। প্রাচীন সে রীতি আজও অক্ষত মহিয়ারী ভট্টাচার্য বাড়িতে।
advertisement
হাওড়ার আন্দুল আলামপুর-হাওড়া রাজ্য সড়ক থেকে সামান্য দূরেই কুণ্ডু চৌধুরীদের বিশাল জমিদার বাড়ি। জায়গাটার নাম মহিয়ারী। আর এই কুন্ডু চৌধুরী জমিদার বাড়ি থেকে কয়েকশো মিটার দূরত্বে ভট্টাচার্য বাড়ি। প্রায় দেড়শো বছরের পুরনো রীতি মেনে আজও দেবী দুর্গার আরাধনা হয় এখানে। পুজোর বেশ কিছুদিন আগে থেকেই এই বনেদি বাড়িতে পুজোর তোড়জোড় শুরু হয়। জন্মাষ্টমীতে হয় প্রতিমা তৈরির কাঠামো পুজো।
আরও পড়ুন : দশভুজার অন্নভোগে থাকতেই হবে মোচার বড়া, রানি ভবানীর সময়কার দুর্গাপুজোর বয়স পেরিয়েছে ৫ শতক
প্রাচীন এই পুজোতে প্রভাব পড়েছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের। পরিবারে অর্থনৈতিক টানাপড়েনের কারণে, সে সময় প্রতিমা পুজো বন্ধ হয়ে নিয়মরক্ষায় ঘটপুজো অনুষ্ঠিত হত। এরপর ১৯৬৪ সাল থেকে পুনরায় প্রতিমা পুজোর চল শুরু হয় মহিয়ারী ভট্টাচার্য বাড়িতে। মহিয়ারী এলাকার দুর্গাপুজোর বিসর্জনেও বিশেষ রীতি দেখা যায়। এলাকার প্রথম প্রতিমা বিসর্জন হবে ভট্টাচার্য বাড়ির পুজোর। হাওড়ার এই ব্যানার্জি পরিবার একটি বনেদি পরিবার। এই বাড়ির দুর্গাপুজো তাঁদের বংশের একটি গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহ্য হিসেবে বিবেচিত হয়।