এবার সেই কালিমা ঘোচালো রেলপুলিশ | মঙ্গলবার দুপুরে ২৫ টি উদ্ধার হওয়া মোবাইল ফিরিয়ে দিল হাওড়া GRP৷ হাওড়া GRP র ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক ইন্সপেক্টর সিদ্ধার্থ রায় জানান, ‘‘এই কাজ রেলপুলিশ পক্ষে করা খুব কঠিন৷ একদিকে ম্যান পাওয়ার, অন্য দিকে হাওড়া স্টেশনের মতো ব্যস্ত স্টেশনের যাত্রীদের নিরাপত্তার বিষয়টা আমাদের কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ | ফলে এই ধরণের কাজ যদি স্থানীয়ভাবে হয় তাহলে আমাদের পুলিশ কর্মীরা সেগুলি উদ্ধার করা বা অভিযুক্তকে পাকড়াও করে ৷’’
advertisement
তিনি আরও বলেন, ‘‘কিন্তু এই ২৫ টি মোবাইলের ক্ষেত্রে বিষয়টা অনেকটাই কঠিন ছিল৷ প্রতিটি ক্ষেত্রেই মোবাইলগুলি চুরি হয়েছে দূরপাল্লার ট্রেনে এমনকি চুরি হয়েছে ভিনরাজ্যে৷ বিভিন্ন দূরপাল্লার ট্রেনে সফর করার সময় সেগুলি চুরি হয়েছে৷ কিছু কিছু ক্ষেত্রে চুরি যাওয়ার দুদিন পর হাওড়া স্টেশনে ট্রেন আসার পর আমাদের কাছে অভিযোগ করেছেন | অর্থাৎ মোবাইল চুরি হওয়ার ২৪-৪৮ ঘন্টা পর আমরা সেটা জানতে পারছি | ততক্ষনে সেই মোবাইল গুলি হাজার মাইল দূরে পৌঁছে গেছে এমনকি হাত বদলও হয়ে গেছে৷’’
তিনি ঘটনার বিবরণ দিয়ে বলেন, ‘‘অভিযোগ পাওয়ার পর থেকেই আমরা তল্লাশি শুরু করি | মোবাইলের IMEI নাম্বার দিয়ে ট্র্যাক করা শুরু করি | বেশির ভাগ মোবাইল ট্র্যাক করে দেখা যায় মোবাইল রয়েছে দিল্লি, ঝাড়খণ্ড বা অসমের প্রত্যন্ত গ্রামে | একটি একটি করে মোবাইল উদ্ধার করতে গেলে অনেক সময় লেগে যাবে | মোবাইল ট্র্যাক করে, যিনি এই মোবাইল ব্যবহার করছে তার সঙ্গে ফোন কথা বলি, তাঁদেরকে অভিযোগ পত্র পাঠিয়ে তাঁদেরকেই বলা হয় মোবাইল গুলি কুরিয়ার করে দিতে৷ চুরির মোবাইল অজান্তেই ব্যবহারকারীরাও সেগুলি আমাদের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন বলেই আজ আমরা সেগুলো আসল মালিকের হাতে পৌঁছে দিতে পারলাম৷’’
এই ধরণের মোবাইল ফেরতের ঘটনা খুব বিরল৷ আর সেই বিরলতম কাজটি করে হাওড়া GRP র কর্মী থেকে আধিকারিকরা প্রত্যেকেই খুশি | অন্যদিকে মোবাইল ফিরে পেতে আশা এক মহিলা বলেন, ‘‘সাতমাস আগে দিল্লি থেকে ফেরার সময় ট্রেন ছাড়ার কিছু পর থেকেই মোবাইল খুঁজে পাইনি | ভাবিনি সেই মোবাইল বাংলায় বসে ফিরত পাব | অবস্যই মোবাইল ফিরিয়ে দেওয়ার পুরো কৃতিত্বই হাওড়া GRP র প্রতিটি পুলিশ কর্মীর৷’’
Debasish Chakraborty