ভাগাড়ের মৃত পশুর মাংস বেচেই পেল্লায় বাড়ি তৈরি করে ফেলেছেন ভাগাড়কাণ্ডের কিং পিন শরাফত হোসেন ৷ বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে গাড়ি । আর ছিল তুমুল প্রভাব প্রতিপত্তি । এইসব নিয়েই গড়ে উঠেছিল ভাগাড়কাণ্ডের মূল চক্রী শরাফত হোসেনের সাম্রাজ্য ।
উত্তর ২৪ পরগনার কাঁকিনাড়ার এন সি রোডের নয়াবাজার বস্তি । তার মাঝেই বুক ফুলিয়ে দাঁড়িয়ে শরাফতের পাঁচ তলা বাড়ি । সঙ্গে বিলাসবহুল জীবন । গত কয়েক বছরেই এলাকায় বেড়েছে প্রতিপত্তি । উত্তর ব্যারাকপুর থেকে গয়েশপুর-সহ কয়েকটি পুরসভা এলাকায় মৃত গৃহপালিত পশুর চামড়া ও হাড় বিক্রি করার লাইসেন্স জোগাড় করেছিল শরাফত । আর এই বৈধ ছাড়পত্রকেই অবৈধভাবে ব্যবহার করেছে দিনের পরদিন । হাড়-চামড়া আলাদা করে পচা মাংস মাটি খুঁড়ে পুঁতে দেওয়াই ছিল তার কাজ । অভিযোগ, সেই পচা মাংসই কলকাতার বিভিন্ন বাজারে পাচার করত শরাফত ৷ আর এভাবে মোটা অঙ্কের টাকা চলে আসত পকেটে। যদিও স্ত্রীর দাবি, স্বামী বেআইনি কিছু করতেন না । স্থানীয় সূত্রে দাবি, ভাগাড়কাণ্ডে কিং পিন শরাফত এক সময় ছিল এলাকার সিপিএম নেতা । সেই সূত্রেই ছিল রাজনৈতিক প্রভাব ৷ বেআইনি কারবার ফুলেফেঁপে ওঠার পর অবশ্য তৃণমূলের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠতা বাড়াতে থাকে বলে স্থানীয় সূত্রে দাবি । সেই প্রভাবকে কাজে লাগিয়েই পুরসভা থেকে লাইসেন্স পুনর্নবীকরণ থেকে নতুন জলের ব্যবসা-আটকায়নি কিছুই । ভাগাড়কাণ্ডে ধৃত শরাফত কলকাতার কোথায় কোথায় জাল ছড়িয়ে রেখেছিল এখন সেটাই খুঁজে বের করার চেষ্টায় পুলিশ ।
advertisement