ধৃতের নাম নওসার আলি মোল্লা ওরফে পিঙ্কু। মেমারি থানার আলিপুরে তাঁর বাড়ি। অভিযান চালিয়ে বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে বর্ধমান মহিলা থানার পুলিশ।
ধৃতকে বর্ধমান সিজেএম আদালতে পেশ করা হয়। ধৃতকে জেল হেফাজতে পাঠিয়ে ২৮মার্চ ফের আদালতে পেশের নির্দেশ দেন সিজেএম। তবে তাঁকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন অভিযুক্তের আইনজীবী।
advertisement
আরও পড়ুন- ৫৭ বছর বয়সেও কামাল, স্ট্রেনথ্ লিফ্টিংয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন জয়নগরের তপন বিশ্বাস
পুলিশ ও আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই গৃহবধূর বাড়ি মেমারির আলিপুরেই। কিছুদিন আগে তিনি বর্ধমান সিজেএম আদালতে মামলা করেন। আদালত কেস রুজু করে বর্ধমান মহিলা থানার ওসিকে তদন্তের নির্দেশ দেয়। সেই নির্দেশ কার্যকর করতে তৎপর হয় বর্ধমান মহিলা থানার পুলিশ। এরপরই তাঁরা অভিযানে নেমে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করে।
ওই গৃহবধূর অভিযোগ, নওসার তাঁকে দীর্ঘদিন ধরে কুপ্রস্তাব দিত। তাতে রাজি না হওয়ায় কিছুদিন আগে জোর করে ঘরে ঢুকে তাঁর গলা টিপে ধরে। গৃহবধূ চিৎকার করায় তাঁকে মারধর করা হয়। তার পরই সে পালিয়ে যায়।
মেমারি হাসপাতালে গৃহবধূর চিকিৎসা করানো হয়। এর কিছুদিন পর গৃহবধূর ঘরে ঢুকে তাঁকে সে ধর্ষণের চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। এরপরই মারধর ও ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্থ হন ওই মহিলা।
বাসিন্দারা বলছেন, শহর এলাকার তুলনায় গ্রামীণ এলাকায় ইদানিং শ্লীলতাহানি, ধর্ষনের কথা বেশি শোনা যাচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে অভিযোগ জানাতে গিয়েও নানা সমস্যার মধ্যে পড়তে হয় নির্যাতিতাকে।
আরও পড়ুন- ঘুষ না দেওয়ায়, ছাত্রীর সঙ্গে ভয়াবহ ঘটনা ঘটালেন স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা!
পুলিশের কাছে পৌঁছতেও নানা বাধার সম্মুখীন হতে হয়। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক জানান, থানায় নির্যাতনের অভিযোগ অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে শুনে দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়।