স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ইটাহার থানার ঘুঘুডাঙা গ্রামের বাসিন্দা বিজয় সিংহের ছেলে পেশায় ট্রাক্টর চালক বিকাশের সাথে মাত্র দুমাস আগে মৃতার বিয়ে হয়। সামাজিক বিবাহ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে রীতিমতো পণ দিয়েই মেয়ের বিয়ে দিয়েছিলেন জিতেন বাবু। অভিযোগ বিয়ের পরদিন থেকেই আরও টাকার দাবিতে মৃতার উপরে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার চালাত স্বামী বিকাশ-সহ শ্বশুর ও শ্বাশুড়ি। অতিরিক্ত পণের টাকা দেওয়ার জন্য মেয়েকে সাথে নিয়ে জামাই বিকাশকে রামডাঙ্গার বাড়িতে আসার জন্যও বলেছিলেন জিতেন বাবু।
advertisement
বৃহস্পতিবার রাতে মেয়ের শ্বশুরবাড়ি থেকে খবর আসে মমতা ফাঁসি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। মৃতা গৃহবধূর দাদা শান্তনু বর্মনের অভিযোগ বিকাশ ও তার বাবা-মা মমতাকে ব্যাপক মারধর করে নিজেরাই ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দিয়েছে। এমনকি গৃহবধূ মমতার মুখে বিষ ঢেলেও দিয়েছে তাঁর স্বামী ও শ্বশুর-শ্বাশুড়ি। মৃতা নববধূ মমতার পরিবারের পক্ষ থেকে ইটাহার থানায় স্বামী বিকাশ সিংহ ও তার বাবা মায়ের বিরুদ্ধে খুন করে মেরে ফেলার লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। যদিও ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্তরা পলাতক। মৃতার পরিবারের দাবি দোষীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পেরেছে অভিযুক্ত স্বামী বিকাশ সিংহ আগেও একজনকে বিয়ে করেছিল সেও অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে বছর খানেক আগে বাপের বাড়ি চলে গিয়েছে। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।