পরিবার সূত্রে জানা যায় এক মাস আগে এক নাবালিকার সঙ্গে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে মিনারুল ইসলামের ছেলে শাহিন সেখ। তারপর থেকেই মেয়ের পরিবারের লোকেরা হুমকি দিত বলে অভিযোগ। পরিবারের অভিযোগ ওই নাবালিকার পরিবারের লোকেরাই খুন করেছে মিনারুলকে। হরিহরপাড়া থানার পুলিশ এসে মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠায়। ময়নাতদন্তের পর শুক্রবার থানার সামনে মৃতদেহ নিয়ে বিক্ষোভ দেখায় গ্রামবাসীরা।
advertisement
দাবি ওই মেয়েটি বাড়ি ফিরে এসেছে তবে শাহিন নিখোঁজ। তাই শাহিনকেও খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ পরিবারের। তাদের দাবি মিনারুল ইসলামের ছেলে শাহিন সেখকে মৃত বা জীবিত অবস্থায় খুঁজে আনা হোক। এবং অভিযুক্তদের গ্রেফতারে সিবিআই তদন্ত করা হোক।
আরও পড়ুন, ‘একুশে জুলাইয়ের সভাও বন্ধ করে দেব!’ কেন হুঁশিয়ারি দিলেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি?
আরও পড়ুন,কাউন্সেলিং প্রক্রিয়ায় ক্রমশই বেড়ে চলেছে অনুপস্থিতির সংখ্যা, উদ্বিগ্ন স্কুল সার্ভিস কমিশন
মৃতের দাদা সোহরাবউদ্দিন শেখ বলেন, ‘আমি জানতে পেরেছি যে মেয়েটির সঙ্গে আমার ভাইপো পালিয়ে গিয়েছিল। সেই মেয়েটি বাড়ি ফিরে এসেছে। কিন্তু আমার ভাইপোর কোনও খোঁজ নেই। আমার ভাইপোকেও ওই মেয়ের পরিবারের লোকেরা খুন করেছে। আমরা মৃত বা জীবিত অবস্থায় আমার ভাইপোকে ফেরত চাই। আমার ভাইয়ের মৃত্যুর ২৪ ঘন্টা পরেই পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে পারেনি। আমরা চাই অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে সিবিআই তদন্ত করা হোক।’
২৪ঘন্টা পরেও অভিযুক্তদের গ্রেফতার না করার প্রতিবাদে থানার সামনে মৃতদেহ ফেলে বিক্ষোভ পরিবার ও গ্রামবাসীদের। বৃহস্পতিবার সকালে হরিহরপাড়া ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সামনে থেকে এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়।