#চন্দননগর: গঙ্গায় স্নান করতে নেমে তলিয়ে গেল দাদা ও বোন।চন্দননগর (Chandannagar) বিশালাক্ষ্মী ঘাটে স্নান করতে নেমেছিল তারা। কে জানত ভয়াবহ অঘটন রয়েছে তাদের ভাগ্য়ে? শুক্রবার দুপুরে জোয়ারের সময় স্নান করতে নেমেই হয় বিপত্তি। তলিয়ে যায় মুন্না কেওয়াট ও বোন সন্ধ্যা। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, মুন্না নামের ওই যুবক এখানে থাকে না। বিহারের পাটনায় বাড়ি তার। এখানে ঘুরতে এসেছিল সে। শুক্রবার সে গঙ্গায় স্নান করতে যায় বোনকে নিয়ে। এখনও তাদের কোনো খোঁজ মেলেনি।
advertisement
আরও পড়ুন: তিন মাস বাড়িভাড়া দেয়নি, অবশেষে ঘরের মধ্যে মা-ছেলেকে পাওয়া গেল যে অবস্থায়...
একই দিনে একইরকম ঘটনা ঘটেছে বালীতে। উদয়নারায়ণপুরের নয়াচক এলাকায় দামোদরে স্নান করতে গিয়ে তলিয়ে গিয়েছেন ৪ জন। বৃহস্পতিবার হাওড়ার দাশনগর থেকে এলাকা থেকে ১১ জনের একটি বন্ধুদের দল নয়াচকের কালীপুজো দেখতে আসে। শুক্রবার দুপুরে দামোদরে স্নান করতে নামে ১১ জনই। কিন্তু তার মধ্যে চারজন জলের তোড়ে তলিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে প্রশাসনের আধিকারিকরা। কারও দেহ উদ্ধার করা যায়নি।
প্রসঙ্গত, এর আগেও দামোদরে এমন দুর্ঘটনা ঘটেছে। গত বছর হোলির দিন সকালে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছিল দুর্গাপুরে৷ আর সেই সময়ই দামোদরে জলে ডুবে একসঙ্গে মৃত্যু হয়েছিল চার কিশোরের৷ হাসপাতালে ভর্তি ছিল আরও চার জন৷ হোলির দিন সকালে দুর্গাপুরের করঙ্গপাড়া থেকে সাত কিশোর দুর্গাপুর ব্যারেজে দামোদর নদে স্নান করতে নেমেছিল।
চন্দনগরের ওই ঘটনায় শোকের ছায়া পরিবারে। ভাইবোনের একত্রে তলিয়ে যাওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছে পরিবার। অবশ্য় তল্লাশিও চলছে জোরকদমে। ঘাটের নিরাপত্তা আরও বাড়ানোর কথা বলছেন স্থানীয়েরা।