সোমনাথ ঘোষ, চুঁচুড়া: হুগলির চুঁচুড়ায় তর্পনের ঘাটে দু’ভরি সোনার হার খোয়ালেন বৃদ্ধা। এদিকে, স্নান করতে নেমে তলিয়ে যাওয়া একজনকে উদ্ধার করল পুরসভার কর্মীরা।
পূর্বপুরুষের উদ্দেশ্যে তর্পণ করতে সকাল থেকেই গঙ্গার ঘাট গুলোতে উপচে পড়া ভিড়। চুঁচুড়া ময়ূরপঙ্খী ঘাটে সেই ভিড়ের মধ্যেই স্নান করতে এসেছিলেন চুঁচুড়া পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড কাপাসডাঙ্গার বাসিন্দা বিপাশা সাহা। গঙ্গাস্নান করে ঘাটের পাশেই একটি মিষ্টির দোকানে দাঁড়িয়ে মিষ্টি কিনছিলেন।তখনই তার খেয়াল হয়, গলায় পরে থাকা দু’ভরি সোনার হারটা নেই।
advertisement
বৃদ্ধার সঙ্গে তার স্বামী বিমল সাহা ছিলেন। তাঁকে বিষয়টি জানান তিনি। আবার গঙ্গার ঘাটে ফিরে এসে পুলিশ কর্মীদের হার খোয়া যাওয়ার বিষয়টি জানান দম্পতি। পুলিশ কর্মীরা তাদের থানায় গিয়ে ডায়রি করার পরামর্শ দেন। বৃদ্ধা বলেন, ”বাড়ি থেকে সোনার হার পরে এসেছিলাম, বাড়িতে রেখে আসতে ভুলে গিয়েছিলাম। প্রতিবছর মহালয়ার দিন এই ঘাটে স্নান করি। গঙ্গায় যখন স্নান করি, তখনও ছিল হারটি।” দুই লক্ষাধিক টাকার হার খুইয়ে কেঁদে ফেলেন বৃদ্ধা।
এদিকে, তর্পণ করতে এসে তলিয়ে যাওয়া একজনকে উদ্ধার করে ঘাটে থাকা পুর কর্মীরা। পুরসভার পক্ষ থেকে মাইকে প্রচার করে সাধারণ মানুষকে সতর্ক করা হয়। গয়না পরে স্নানে নামতেও নিষেধ করা হয়।
তবে, তর্পণ করতে এসে নদীতে তলিয়ে গেল এক নাবালিকা। রবিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে হুগলি নদীতে, উলুবেড়িয়া কালীবাড়ি ঘাটের কাছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার ভোরে খড়গপুরের গোলবাজার থেকে মা বাবা ও আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে উলুবেড়িয়া কালীবাড়িতে আসে ওই নাবালিকা। প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ অনুযায়ী নদীতে ৪ জন নামার পর স্রোতের টানে সবাই তলিয়ে যাওয়ার সময় ৩ জনকে উদ্ধার করা গেলেও ওই নাবালিকা জলে তলিয়ে যায়। দুর্ঘটনার পর বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী নদীতে ডুবুরি নামিয়ে তল্লাশি শুরু করে। যদিও এখনও পর্যন্ত নিখোঁজ নাবালিকার কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি।