বাঁশবেড়িয়ার কার্তিক পুজোর জৌলুস বিগত কয়েক দশকে বেড়েছে। বাবু কার্তিক,জামাই কার্তিক, জ্যাংরা কার্তিক, ষড়ানন নানা ধরনের কার্তিক পুজো যেমন হয়, তেমনি মহাদেব,কৃষ্ণ,সন্তোষী মা, গনেশ, ভারতমাতা, নটরাজ-সহ হরেক দেবতার পুজো হয়। চারদিনের উৎসবে শেষ দিন হয় শোভাযাত্রা।
বর্তমানে শতাধিক পুজো হয় সাহাগঞ্জ বাঁশবেড়িয়া অঞ্চলে। তবে কেন্দ্রীয় কমিটির নিয়ন্ত্রণে পুজো হয় ৭১ টি।শোভাযাত্রায় অংশ নেয় ৪৫ টি পুজো। চন্দননগরে আলো, মেদিনীপুরে থিমের মণ্ডপ মিলিয়ে বাঁশবেড়িয়ার চারদিনের উৎসব জমজমাট।
advertisement
পুরসভার চেয়ারম্যান আদিত্য নিয়োগী জানান, ‘‘প্রচুর মানুষের ভিড় হয় শহরে এই চারদিন। নিরাপত্তার জন্য ৭৬টি স্থায়ী সিসি ক্যামেরা সঙ্গে অস্থায়ী ২৫ টি সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। পুজো কমিটি গুলো আলাদা করে সিসি ক্যামেরা বসায়। পুরসভার পক্ষ থেকে পরিচ্ছন্নতার দিকে নজর দেওয়া হয়। স্বাস্থ্য শিবির করা হয়। পুলিশি সহায়তা কেন্দ্র থাকে।হুগলি গ্রামীণের মগরা থানা, চন্দননগর কমিশনারেট, চু়ঁচুড়া থানার পুলিশ মোতায়েন থাকে।
সাহাগঞ্জের রাজা কার্তিক পুজোর উপদেষ্টা জগবন্ধ সাহা বলেন,আমাদের পুজো একটা পরম্পরা,পর্তুগিজদের সময় থেকে কার্তিক পুজোর সূচনা হয়েছিল। সন্তান কামনায় কার্তিক পুজোর প্রচলন হয় বলে বিশ্বাস। প্রাচীন পুজো নিয়ম নিষ্ঠা মেনে আজও হয়ে আসছে।
বাঁশবেড়িয়ার বাসিন্দা বৃদ্ধ গিরিধারী মিত্র বলেন,বাঁশবেড়িয়া কার্তিক পুজো বিখ্যাত।এখানে ৩৩ কোটি দেবতা দেখা যায়।কার্তিক পুজো হলেও রাসের মত পুজো নানা দেবতার।সারারাত ধরে মানুষ ঠাকুর দেখে।আগের থেকে জৌলুস অনেক বেড়েছে।
রাহী হালদার