স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার ডিউটি শেষ করে ক্যানিং থানার পেছনে থাকা কোয়ার্টারে গিয়েছিলেন। তারপর বাড়ির থেকেই বারবার ফোন করার পরও ফোনে কোন সাড়া পাওয়া যাচ্ছিল না। বোন রুকসানা খাতুন তড়িঘড়ি কোয়ার্টারে চলে যান। দরজা খুলে ভিতরে ঢুকতেই দেখেন ওড়না গলায় পেঁচিয়ে সিলিং এর সঙ্গে ঝুলছে ওই মহিলা হোম গার্ড। দিদির অবস্থা দেখার পর কান্নায় ভেঙে পড়েন বোন। এরপর ক্যানিং থানা থেকে পুলিশ গিয়ে দেহটিকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। তদন্ত শুরু করেছে ক্যানিং থানার পুলিশ। ঘটনার পিছনে অন্য কোনও কারণ আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। খুন না আত্মহত্যা তাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। দু’বছর আগে পঞ্চায়েত ভোটের সময় ভাঙ্গরে গিয়ে খুন হয় বাবা। তারপর হোম গার্ডের চাকরি দেওয়া হয়েছিল বাড়ির বড় মেয়েকে। আর এদিনের এই মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবারের।
advertisement
মৃত হোম গার্ডের বাড়ি জীবনতলা থানার উত্তর মৌখালী এলাকায়। এদিকে মৃতের পরিবারের তরফ থেকে ক্যানিং থানার সাব ইন্সপেক্টরের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তাঁদের দাবি বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় সে খুন করেছে বলে অভিযোগ ওঠে। এ বিষয়ে ক্যানিং এসডিপিও রামকুমার মণ্ডল জানান, মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। সম্পূর্ণ বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে তদন্ত শুরু হয়েছে।
