পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়গপুর পৌরসভার ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে ইন্দা মোড় এলাকায় সৌমেন দাস ওরফে বিলু রথযাত্রা (Rath Yatra 2022) উপলক্ষে একটি ব্যানার লাগান। সেই ব্যানারে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, খড়্গপুরের বিধায়ক হিরণ্ময় চট্টোপাধ্যায় এবং ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপির শক্তির কেন্দ্র প্রমুখ সৌমেন দাসেরও ছবি রয়েছে। কিন্তু এই ব্যানারে উধাও মেদিনীপুরের সাংসদ তথা বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের ছবি (Hiran Chatterjee Dilip Ghosh)। সেই নিয়ে শুরু হয়েছে খড়গপুর শহরে রাজনৈতিক বিতর্ক।
advertisement
আরও পড়ুন : রথের দিনেই বর্ষার ইনিংস শুরু দক্ষিণবঙ্গে! ভিজবে বেশ কয়েকটি জেলা! আবহাওয়ার Latest Update
২৩ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপির শক্তি কেন্দ্রে প্রমুখ সৌমেন দাস বলেন এটা 'মিসটেক' হয়ে গিয়েছে, আর কিছু নয়। পরে এটা আমার নজরে পড়ল। ব্যানার একটা করতে বলেছিলাম। কয়েকটা নেতার ছবি দিতে বলেছিলাম। আমরা কিছু করিনি ওরাই প্রেস থেকে করে পাঠিয়েছে। যখন সবকিছু হয়ে গেছে প্রেসের লোক টাঙিয়ে দিয়ে চলে গেছে তখন আমাদের নজরে পড়েছে (Hiran Chatterjee Dilip Ghosh)।
পরবর্তীকালে কোনও পোস্টার লাগালে সেটাতে এমন যাতে না হয় তার দিকে নজর রাখবো আমরা। এখন আমি শক্তি কেন্দ্র প্রমুখ আছি। নতুন কমিটি তৈরি হচ্ছে জেলা ও মণ্ডল থেকে। তাতে আমাকে রাখলেও ভাল, না রাখলেও কোনও অসুবিধা নেই। এই শক্তি কেন্দ্র প্রমুখ হিরণ অনুগামী সৌমেন দাস বিলুর বিরুদ্ধে পৌরসভা নির্বাচনে টিকিট না দেওয়ায় দিলীপ ঘনিষ্ঠ রাজ্যের নেতা তুষার মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি, গাড়ি ভাঙচুর অভিযোগ ছিল।
আরও পড়ুন : সর্বনাশ! ইলিশ ভেবে চন্দনা আনছেন না তো বাড়িতে? টাটকা ইলিশ চিনবেন কী করে? রইল ৭ মোক্ষম টিপস
খড়গপুর (Kharagpur BJP Politics) শহর বিজেপির উত্তর মণ্ডলের সভাপতি দ্বীপসোনা ঘোষ বলেন, "ছবি দিয়ে রাজনীতি বিজেপি করে না। আমরা দীর্ঘদিন বিভিন্ন জায়গায় দেখেছি যে যার মত ছবি দেয়। দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) পশ্চিমবাংলার রাষ্ট্রবাদী মানসিকতা মানুষের রক্তে দিলীপ ঘোষ আছেন। দিলীপ ঘোষকে ছবি দিয়ে নেতা বানাতে বা বানানোর দরকার নেই। দিলীপ ঘোষ মানুষের রক্তে ও বুকে আছেন। যিনি এটা দিয়েছেন তাঁকে দীর্ঘদিন ধরে আমরা সাংগঠনিক ভাবে দেখছি না। উনি ঠিকই বলেছেন 'প্রিন্ট মিসটেক'। উনি প্রিন্ট ঠিকভাবে করতে পারেননি। হতে পারে ওঁর নিজস্ব প্রিন্টার আছে। উনি নিজেই প্রিন্ট করেন। সেই হিসেবে প্রিন্ট মিসটেক হতেই পারে। জেলার নেতৃত্ব এই ব্যাপারটা দেখছেন। জেলা নেতৃত্বের কাছে সমস্ত ব্যাপারটা অবগত আছে। কারা কী ভাবে পৌরসভা নির্বাচনের সময় কী কী করেছিলেন। সমস্ত কিছু জেলা এবং রাজ্য নেতৃত্ব জানেন।
শহর তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান জহর পাল বলেন, "আমরা দেখেছি এই শহরে দিলীপ ঘোষের পোস্টার যদি হয় সেখানে হিরণের ছবি থাকে না। আবার হিরণ যখন পোস্টার লাগায় তখন দিলীপ ঘোষের ছবি থাকে না। দিলীপ ঘোষকে রাজ্য কমিটি কোণঠাসা করে দিয়েছে। এবার হিরণ চাইছে এখানে দিলীপ ঘোষকে কী ভাবে কোণঠাসা করা যায়। দিলীপ ঘোষের অনুগামী যারা হিরণকে বয়কট করছে। অনুরূপভাবে হিরণের অনুগামীরা দিলীপ ঘোষকে বয়কট করছেন। এই যে বয়কট রাজনীতি চলছে নিজেদের মধ্যে তা আদতে চাপা বিরোধিতাই। নিজেদের মধ্যে খাওয়া খাওয়ি চলছে। এই ভাবেই দলটা শেষ হয়ে যাবে। এদের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাবে না। এটা দিলীপ ঘোষকে জবাব দিচ্ছে হীরণের লোকেরা।"
শঙ্কর রাই
