প্রশমার প্রাপ্ত নম্বর ৭২৯ ৷ প্রশমার ইচ্ছে ভবিষ্যতে পদার্থ বিদ্যা নিয়ে পড়াশুনো করার ৷ শুধু প্রশমাই নয়, প্রশমার ভাই প্রমিত শাসমলও মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র ৷ প্রশমার কথায়, ‘ভালো ফল করার জন্য সব সময়ই পরিশ্রম করেছি ৷ তবে মাদ্রাসার শিক্ষকদের সাহায্য না পেলে এরকম ফলাফল সম্ভব হতো না ৷ ’
advertisement
প্রশমার কথায়, ‘আমি আগে অন্য মাধ্যমে পড়েছি ৷ মাদ্রাসা কোনও দিক থেকেও কম নয় ৷ মাদ্রাসার মানও খুব ভালো ৷ ’ এমনকী, প্রশমার বাবাও সেরকমটাই মনে করেন ৷ তাই ষষ্ঠ শ্রেণী থেকেই মাদ্রাসায় ভর্তি করেন ৷
সোমবার প্রকাশিত হল মাদ্রাসা, আলিম, ফজিল পরীক্ষার ফলাফল ৷ আগেরবারের তুলনায় এবারে পাশের হার বাড়ল হাই মাদ্রাসায় ৷ পাশের হার বেড়েছে আলিম ও ফাজিল পরীক্ষাতেও ৷
মাদ্রাসা শিক্ষা কমিশনের সচিব রেজানুল করিম জানিয়েছেন, ছাত্রীদের তুলনায় এবছর ছাত্রদের পাশের হার বেশি ৷ জেলাগুলির মধ্যে পূর্ব মেদিনীপুরে পাশের হার সর্বাধিক ৷ কিন্তু হাই মাদ্রাসা পরীক্ষায় সবচেয়ে ভালো ফল করেছে মালদহ জেলা ৷
হাই মাদ্রাসায় যুগ্মভাবে প্রথম হয়েছে মুর্শিদাবাদের দুই পড়ুয়া ৷ ৭৬৩ পেয়ে প্রথম হয়েছে আরিফুদ্দিন শেখ ও গোলাম সারোয়ার পারভেজ ৷ দু’জনেই আমিয়াবাদ হাই মাদ্রাসার ছাত্র ৷
রাজ্যে তৃতীয়, সপ্তম ও অষ্টম স্থান গ্রহণ করেছে মালদহের পড়ুয়ারা ৷ মেধাতালিকায় তৃতীয় স্থান দখল করেছে বটতলা আদর্শ হাই মাদ্রাসার ছাত্রী মাসুমা খাতুন ৷ তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৭৫৩ ৷ সপ্তম নাসরাৎ পানুর প্রাপ্ত নম্বর ৭৩১ ৷ সে মিটনা সুলেমানী হাই মাদ্রাসার ছাত্রী ৷ অষ্টম সুজাপুর নয়মৌজা হাই মাদ্রাসার ছাত্র, সায়েদ আনোয়ারের প্রাপ্ত নম্বর ৭২৯ ৷