পাঁশকুড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে স্বাস্থ্যকর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগে মূল অভিযুক্ত শেখ জাহির আব্বাসকে সোমবারই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দিনের পর দিন স্বাস্থ্যকর্মীদের ধর্ষণের অভিযোগের ঘটনা সামনে আসতেই সুপারকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান হাসপাতালের কর্মীরা। হাসপাতাল কর্মীদের দাবি, অভিযুক্ত জাহির আব্বাসের জন্য সবাই তটস্থ থাকতেন। তাঁদের আরও দাবি, কারুর না কারুর প্রশ্রয়েই মাতব্বরি চালাতো অভিযুক্ত জাহির।
advertisement
আরও পড়ুনঃ ‘এই’ জিনিস ছাড়া মায়ের পুজো অসম্পূর্ণ! পুজোর আগে বিপুল চাহিদা বাজারে, বিকল্প আয়ের দারুণ সুযোগ
ফেসিলিটি ম্যানেজারের কাজে যুক্ত থেকে অভিযুক্ত জাহির হাসপাতালে ‘দাদাগিরি’ চালাতো বলে যখন অভিযোগ সামনে আসছে, তখন চাপে পড়ে সাফাই দেওয়া এবং নিজের অসহায়তার কথাই বলছেন হাসপাতাল সুপার। সুপার বলেন, হাসপাতালের সব কর্মী তথা ডাক্তারদের নিরাপত্তার ভার ছিল অভিযুক্ত-সহ তাদের কোম্পানির কর্মীদের হাতে। রক্ষকই ভক্ষকের ভূমিকা পালন করছে, তাই আমরা আতঙ্কিত।
সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, এই হাসপাতালে একাধিক ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিল জাহির আব্বাস। ৮টি মাতৃজান (অ্যাম্বুলেন্স), সুপারের জন্য দেওয়া গাড়ি সব তারই ব্যবসা ছিল। তার এবং তার টিমের উপর ছিল হাসপাতালের ১৩৩ জন স্টাফের নিরাপত্তা। কিন্তু সেই ভক্ষকই এতদিন অপকর্ম চালিয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুনঃ বাড়ির সামনে খেলছিল একরত্তি, মুহূর্তে ঘটে গেল সর্বনাশ! র*ক্তাক্ত… গা শিউরে উঠল এলাকাবাসীর
এই ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। চলছে তৃণমূল এবং বিজেপির চাপানউতোর। এদিকে এসবের মধ্যেই পাঁশকুড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখলেন জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধির দল। দেখা করলেন হাসপাতাল সুপারের সঙ্গে। কথা বলেন হাসপাতালের কর্মীদের সঙ্গেও। প্রতিনিধি দলে ছিলেন পাঁশকুড়া পৌরসভার চেয়ারপারসন নন্দকুমার মিশ্র, পাঁশকুড়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, সহসভাপতিরা।