বর্ধমানের গোলাপবাগ রমনাবাগান অভয়ারণ্যর আকর্ষণ বাড়াতে পরিকাঠামো বাড়িয়েছে বন দফতর। চিতা বাঘের জন্য আলাদা এনক্লোজার রয়েছে। সেখানে দুটি চিতা বাঘ ও তাদের দুটি শাবক দর্শকদের মূল আকর্ষণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এছাড়াও জলাশয়ে রয়েছে কুমির। বিভিন্ন রকমের প্রচুর পাখি রয়েছে এই মিনি জু-তে।
advertisement
সারস, শামুকখোল, কাকাতুয়া তো রয়েছেই, আছে পেখম মেলা ময়ূরও। রমনাবাগান অভয়ারণ্যের অন্যতম আকর্ষণ বিভিন্ন প্রজাতির হরিণ। দলে দলে হরিণদের বিচরণ, তাদের খাওয়া-দাওয়া দর্শকদের কাছে বরাবরই উপভোগ্য হয়ে ওঠে। রয়েছে ভালুক। এছাড়াও দর্শকদের কাছে এই অভয়ারণ্যের আকর্ষণ বাড়াতে উত্তরবঙ্গ থেকে আরও বেশ কিছু পশু পাখি আনার পরিকল্পনা রয়েছে বলে বনদফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।
পরিবারের সকলের সঙ্গে চিড়িয়াখানায় এসেছিলেন বর্ধমানের তরুণী তিতির ঘোষাল। চিতা বাঘের এনক্লোজার ঘুরে এসে জানালেন সকাল থেকেই পরিবারের সকলের সঙ্গে দিনটা অন্যরকম ভাবে কাটছে মেঘনাথ সাহা তারামণ্ডলের পাশে পিকনিক চলছে সেই পিকনিকের ফাঁকে এই চিড়িয়াখানায় এসেছিলাম। পরিবারের সকলের সঙ্গে অভয়ারণ্যের বিভিন্ন দিক ঘুরে দেখছি।
বনদফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, শীত পড়তেই এই অভয়ারণ্যে দর্শকদের ভিড় বাড়ছে। বড়দিন এবং ৩১শে ডিসেম্বর ভালো ভিড় হয়েছিল। তবে সেই ভিড়কেও ছাড়িয়ে দিয়েছে ইংরেজি বছরের প্রথম দিন। দুই চিতাবাঘ ও তাদের শাবকদের টানে গোটা মরশুম জুড়েই রমনা বাগান অভয়ারণ্যে দর্শকদের ভিড় থাকবে বলে আশাবাদী বনদফতর।
