বর্ধমানের নীলপুর এলাকার একটি বাতাসা কারখানার শ্রমিকরা এখন খাওয়া ঘুম ভুলে ব্যস্ত বাতাসা তৈরি করতে। লক্ষ্মী পুজোর আগে বাতাসার চাহিদা থাকলেও মেঘলা আকাশ আর বৃষ্টি বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে কারিগরদের কাছে। বৃষ্টির কারণে জ্বলছে না উনুন, স্বভাবতই পর্যাপ্ত বাতাসা তৈরি করতে পারছেন না তাঁরা। অন্যদিকে মেশিনের সাহায্যে তৈরি বাতাসা কমদামে বাজারে বিক্রি হওয়ায় অনেকটাই বাজার কমেছে হাতে তৈরি বাতাসার।কারখানার মালিক নারায়ণচন্দ্র সাহা জানান, তাঁদের আদি ব্যবসা ছিল বাংলাদেশে, পরে তাঁরা চলে আসেন বর্ধমানে। আজ থেকে প্রায় ৫০ বছর আগে বর্ধমানে বড় নীলপুর এলাকায় ব্যবসা শুরু করেন তিনি। আগে পাঁচজন শ্রমিক কাজ করতেন। পাশাপাশি ছিল দু-তিনজন সহকারী। কিন্তু বর্তমান সময়ে আর এই কাজের সঙ্গে কেউ যুক্ত হতে চাইছে না। তাই শ্রমিকের অভাব দেখা দিচ্ছে। পাশাপাশি দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ফলে লাভের অংশ খুবই কম।এখন মেশিনের বাতাসা কম দামে বাজারে বিক্রি হাওয়ায় হাতের তৈরি বাতাসার চাহিদা আস্তে আস্তে কমে যাচ্ছে। বছরের অন্যান্য সময় দেড় কুইন্টাল এবং পুজোর মরশুমে প্রায় আড়াই কুইন্টাল করে বাতাসা তৈরি হয়।তবে আগের থেকে অনেকটাই কমেছে ব্যবসা।
advertisement
আরও পড়ুন : নামীদামি ক্রিম, লোশন গোল্লায় যাক! আলুর রসে ‘এটা’ মিশিয়ে লাগালেই উধাও হবে চোখের নীচের কালি, কালো ছোপ!
আজও শুভ কাজে, উৎসব-অনুষ্ঠানে হাতে তৈরি বাতাসার কদর অপরিসীম। তাই মূল্যবৃদ্ধি, শ্রমিকের অভাব এবং আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর কম দামের পণ্যের সঙ্গে প্রতিযোগিতা সবকিছু ছাপিয়েও হাতে তৈরি বাতাসার ব্যবসাকে আজও টিকেয়ে রেখেছেন নারায়ণবাবু।